অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: মাস খানেক আগের ঘটনা। সরকারি আবাসন থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দেহরক্ষীকে। আর শুক্রবার সকালে খড়গপুরের বেলদায় নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন সাংসদ শিশির অধিকারীর দেহরক্ষী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। শেষপর্যন্ত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেলদা থানার পুলিশ।
[ পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদ, প্রাণহানির হুমকির মুখে বিজেপি নেতা]
মৃতের নাম বিশ্বনাথ বসু। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সশস্ত্র পুলিশবাহিনীতে চাকরি করতেন তিনি। পোস্টিং ছিল কাঁথি থানায়। সাংসদ শিশির অধিকারীর দেহরক্ষী ছিলেন বিশ্বনাথ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে বাজারে পাঠিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী চলে যাওয়ার পরই ফাঁকা বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাড়ি ফিরে স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতেন পান ওই পুলিশকর্মীর স্ত্রী। বিশ্বনাথকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সাংসদ শিশির অধিকারীর দেহরক্ষীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা করলেন সাংসদ শিশির অধিকারীর দেহরক্ষী বিশ্বনাথ বসু? কারণ স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্বনাথ একাধিক মহিলার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দার। পরকীয়ার কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে বেলদা থানার পুলিশ। সাংসদ শিশির অধিকারীর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। মাসখানেক আগে সরকারি আবাসন থেকে তাঁর পাইলট কারের দেহরক্ষীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদে সার্ভিস রিভলবার থেকে মাথায় গুলি চালিয়েছিলেন মন্ত্রীর দেহরক্ষী।
[ আবাসিক স্কুলে আত্মহত্যার চেষ্টা দুই ছাত্রীর, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]