Advertisement
Advertisement

Breaking News

রক্তদান

কর্মবিরতির মাঝেও পরিষেবা সচল রেখে ব্যতিক্রমী বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল

বর্ধমান,কাটোয়া, পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো (সদর)হাসপাতালের চিকিৎসকরা রক্ত দিয়ে সাহায্য করেন৷

Some Govt hospitals in various districts are continuing their service
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 15, 2019 10:01 am
  • Updated:June 15, 2019 10:01 am

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: নীলরতম সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরের জেরে রাজ্যজুড়ে ডাক্তারদের কর্মবিরতির মাঝেও ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়ল৷ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কাটোয়া হাসপাতাল, পুরুলিয়ার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ দেবেন মাহাতো (সদর)হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু রাখলেন চিকিৎসকরা৷ এমনকী ব্লাড ব্যাংকে সংকট যাতে না হয়, সেকথা ভেবে এসবের মাঝেই জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেরাই এগিয়ে গেলেন রক্তদানে৷

[আরও পড়ুন: গণইস্তফার আবেদনে স্বাক্ষর, কালো ব্যাজ পরে রোগী দেখলেন চিকিৎসকরা]

রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি এখনও৷ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে কাজ হয়নি৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে অটল৷ নবান্নে তাঁদের ডেকে সমস্যার সমাধান করতে চাইলেও, তাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি নন৷ আউটডোরের পর কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে জরুরি পরিষেবাও৷ কিন্তু এসবের মাঝেও জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কেবলমাত্র প্রতীকী অনশন করেই পরিষেবা চালু করে দিয়েছে৷ তেমনই একটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷

Advertisement

জরুরি বিভাগ সচল রাখলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগেরই একাংশে অস্থায়ী আউটডোর বিভাগ খুলে পরিষেব চালু রাখার চেষ্টা করেন। টেবিল নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী বসলেন আউটডোরের টিকিট কাটতে। তিনজন সিনিয়র চিকিৎসক সেখানে বসে একের পর এক রোগী দেখলেন। মাঝে হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ নিজে এসেও রোগী দেখে গেলেন। কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, তারও খোঁজ নিলেন। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরাও মানবিকতার নজির রাখলেন শুক্রবার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্তসংকট রয়েছে বলে সেখানকার কর্মীদের কাছ থেকে খবর পান জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ দুই জুনিয়র চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস ও রোহন মান্না ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন।

Advertisement

treatment3

পরিষেবা ব্যাহত হলে জনগণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া যাতে না হয়, তার জন্য শুক্রবার চিকিৎসকরা অবস্থান মঞ্চের পাশেই রোগী দেখেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ৷ পাশাপাশি তাঁরা হাতজোড় করে বার্তা দিলেন৷ বললেন, ‘আপনারা আমাদের শত্রু নন। আমরাও আপনাদের শত্রু নই। কিন্তু আমাদের অবস্থাটা বোঝানোর চেষ্টা করুন।’ শুধু মুখেই নয়, কিছু ক্ষেত্রে কাজ করেও সহমর্মিতা জানালেন কোনও কোনও আন্দোলনকারী চিকিৎসক। প্রয়োজনে স্টেথোও ধরলেন কেউ কেউ। অবস্থান মঞ্চের পাশে বসেই রোগী দেখলেন। চিকিৎসা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেওয়ার কথা জানালেন। তবে কোনওভাবেই যে তাঁরা আন্দোলন থেকে বা দাবি থেকে পিছু হঠছেন না, তাও জানিয়ে দিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা৷এদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও আন্দোলনে নেমেছেন এদিন। তবে পরিষেবা বন্ধ করে নয়। প্ল্যাকার্ড নিয়ে মৌন মিছিল করেছেন তাঁরা। কাটোয়া হাসপাতালেও জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে রক্তদান করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় থাকতে হলে, বাংলায় কথা বলুন’, দলীয় কর্মিসভায় মন্তব্য মমতার]

শুধু চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে কর্তব্য করা নয়। মুমূর্ষু রোগীদের রক্ত সরবরাহে যাতে কোন সমস্যা না হয়, তাই রক্তদান নজির রাখলেন পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল দেবেন মাহাতো (সদর) হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ নার্স, সিনির, জুনিয়র চিকিৎসক-সহ মোট ৪২জন এদিন রক্ত দিলেন৷ আসলে, পুরুলিয়ার মতো প্রান্তিক জেলায় পরিষেবা স্তব্ধ থাকলে মানুষজন প্রবল সমস্যায় পড়বেন, সেকথা মাথায় রেখেই শুধুমাত্র প্রতীকী কর্মবিরতি পালনের পর এখানকার চিকিৎসকরা পরিষেবা সচল রেখেছেন৷

treatment prl

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ