Advertisement
Advertisement

Breaking News

কবিগুরু ক্ষমা করো

‘কবিগুরু ক্ষমা করো’, আবির দিয়েই রবীন্দ্রভারতীর অশ্লীলতার প্রতিবাদ ৪ তরুণীর

ওই তরুণীরা প্রত্যেকেই খড়গপুর ট্রাইবাল শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন।

Some lady protest against Rabindra Bharati Basant Utsab controversy
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 8, 2020 4:35 pm
  • Updated:March 8, 2020 4:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরনে হলুদ শাড়ি। চুল বাঁধা। কারও কারও খোঁপায় গোঁজা ফুল। খোলা পিঠে আবারও আবির দিয়ে লেখা ছবি ভাইরাল। তবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসবের মতো অশ্রাব্য গালিগালাজ নয়। আবির দিয়ে পিঠে লিখেই বরং ওই ঘটনার যোগ্য জবাব দিলেন চার তরুণী। লিখলেন, ‘কবিগুরু ক্ষমা করো’। তাঁদের এই কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রায় সর্বত্রই।

পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ট্রাইবাল শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি বসন্তোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেজেগুজে ওই অনুষ্ঠানে শামিল হন হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরনে হলুদ শাড়ি। চুল বাঁধা। কারও কারও খোঁপায় গোঁজা ফুল। চার তরুণীর খোলা পিঠে লেখা ‘কবিগুরু ক্ষমা করো’।

Advertisement

Kharagpur

Advertisement

কিন্তু কেন এমন লিখলেন তরুণীরা? তাঁদের দাবি, সম্প্রতি রবীন্দ্রভারতীতে রোদ্দুর রায়ের গান অনুকরণ করে বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী তাদের পিঠে, বুকে গালিগালাজ লেখে। ওই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এধরনের কাজকর্ম যে রবীন্দ্রভারতীর সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ঐতিহ্যবাহী একটি অনুষ্ঠানে যারা এ ধরনের খারাপ কাজ করল, তাদের জবাব দেওয়াই ছিল খড়গপুর ট্রাইবাল শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। তাই হুগলি, চুঁচুড়া, চন্দননগরের অভিযুক্ত ওই পড়ুয়াদের জবাব দিতেই খোলা পিঠকে ব্যবহার করেছেন হবু শিক্ষিকারা।

[আরও পড়ুন: রবীন্দ্রসংগীতে অশ্লীল শব্দ জুড়ে ক্লাসরুমে উদ্দাম নাচ! এবার বিতর্কে বারাসতের স্কুল]

নিমেষে এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই তা নজরে আসে খড়গপুর ট্রাইবাল শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আরণ্যক আচার্য-সহ অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের। ওই শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আরণ্যক আচার্য বলেন, “রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডের প্রতিবাদে যেভাবে সুর চড়িয়েছেন পড়ুয়ারা, তাঁদের পন্থা আমাদের গর্বিত করেছে। আমি সত্যিই অভিভূত। প্রতিবাদে আরও সকলে গর্জে উঠুক। তবেই কবিগুরুকে অপমান করা বন্ধ হবে। যারা অপমান করছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।”

Rabindra-Bharati-University

এই ধরনের প্রতিবাদীদের সংখ্যা বাড়লে আমাদের দেশের সংস্কৃতি রক্ষা করা সম্ভব বলেই আশা সংস্কৃতিমনস্কদেরও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ