সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি হিসাবে বাংলায় প্রথমবার এসে রাজ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রামনাথ কোবিন্দ। মুখ্যমন্ত্রী আঁকা ছবি থেকে শুরু করে রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি। বাংলার কথা বলতে গিয়ে একেবারে আপ্লুত রাষ্ট্রপতি।
[বিশ্ব বাংলা বিতর্কে মুকুলের বিরুদ্ধে ফৌদজারি ও মানহানির মামলা অভিষেকের]
দীর্ঘ দিন জাতীয় স্তরে রাজনীতি করেছেন। পাশের রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ছিলেন। কিন্তু বাংলায় সেভাবে আসা হয়নি। রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকটা জায়গায় গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বাংলার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি চলে এলেন। নেতাজি ইন্ডোরে তাঁর নাগরিক সংবর্ধনা দিতে পেরে যেমন গর্বিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই আবেগতাড়িত হলেন রামনাথ কোবিন্দ। সংক্ষিপ্ত ভাষণে যে কথা বারবার উঠে এল। শুরুতেই স্পষ্ট বাংলায় তিনি জানালেন, ‘‘নমস্কার আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি দেখে বিস্মিত রামনাথ কোবিন্দ। জানিয়ে দিলেন এছবি জায়গা পাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। যা চিরদিন হৃদয়ের কাছাকাছি থাকবে। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘এ শহরের হৃদয় আছে। আমি বরাবর বাংলার ভক্ত। কাল জোড়াসাঁকোয় যাব রবি ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানাতে। নেতাজি ভবনে যাব। বেলুড় মঠে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। বাংলার ইতিহাস কতটা সমৃদ্ধ তা এদিন জানান রাষ্ট্রপতি। জানালেন বন্দেমাতরম, জয় হিন্দ, জাতীয় সঙ্গীতের সৃষ্টি এই বাংলাতে। খুব কম লোক আছে যাদের জীবনকে বাংলা ছুঁয়ে যায়নি। আমাদের জাতীয় পরিচিতর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাংলা। রবি ঠাকুর-বঙ্কিমচন্দ্র-নেতাজি জাতীয়তাবাদের জনক। দেশভাগের পর গভীর যন্ত্রণা পেয়েছে বাংলা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে যারা এসেছিলেন তাদেরকে আপন করে নিয়েছিলেন বঙ্গের মানুষ। সামজিক উন্নয়ন থেকে আধ্যাত্মিকতা, সব ক্ষেত্রেই পথ দেখিয়েছে বাংলা। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলার অবদান অনস্বীকার্য।’’ পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ভালভাবে আয়োজনের জন্য রাজ্য প্রশাসনকে অভিনন্দনও জানান রাষ্ট্রপতি। জানান এশহর মিষ্টি, আড্ডা, ফুটবলের।
[ত্রিপুরায় নিহত সাংবাদিকের ভাইকে বাংলায় চাকরির প্রস্তাব মমতার]
রাষ্ট্রপতির আগে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান কেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গর্বিত বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘রাষ্ট্রপতি দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ। রাষ্ট্রপতি হলেন আমাদের পরামর্শদাতা। সকলের অভিভাবক। বাংলায় এসে রাজ্যের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। কলকাতায় আসার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। রাষ্ট্রপতির পদ রাজনীতির উর্ধ্বে, রাষ্ট্রপতি সর্বধর্ম সমন্বয় আমাদের ঐতিহ্য, গর্ব।’’