Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিষ্টি, রাজনীতি

চোখের দেখা নয়, চেখে দেখার জন্য তৈরি পছন্দের রাজনৈতিক দলের প্রতীকী মিষ্টি

সোদপুরের ট্রাফিক মোড়ের শিবানী সুইটসে তৈরি হচ্ছে এসব মিষ্টি৷

Sweets made of political symbols are in demand in Sodepur
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 2, 2019 5:27 pm
  • Updated:May 29, 2023 4:29 pm

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর:  বাঙালি রসনাপ্রিয়৷ রসাস্বাদনে তার উদ্ভাবনীর শেষ নেই৷ আবার বাঙালি রাজনীতিপ্রিয়, তর্কপ্রিয়ও৷ ভাবছেন রসনার সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক?  আছে,আছে৷ ভোটের মরশুমে চায়ের টেবিলে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের প্রবল ঝড়ঝাপটা সামলে দিতে পারে একমাত্র মিষ্টি৷ তাও আবার তা যদি হয় পছন্দের দলের৷ ঘাবড়াবেন না৷ সোদপুরের এক নামী মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্ন দিয়ে তৈরি করেছে ক্ষীরের মিষ্টি৷ আর নির্বাচনী আবহে তা বিকোচ্ছেও দেদার৷

                                            [ আরও পড়ুন : মতুয়া ঠাকুরবাড়ির পূণ্যস্নানেও মতানৈক্য, স্পষ্ট রাজনৈতিক লড়াই]

সোদপুরের ট্রাফিক মোড়ের শিবানী সুইটস৷ ভোটের মরশুমই হোক কিংবা বিশ্বকাপ ,  চলতি হাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিষ্টি তৈরি করে থাকেন এখানকার কর্মীরা৷ এই যেমন পদ্মফুল আকারের বিরাট সন্দেশ কিংবা মিষ্টিতে হাতের ছাপ৷ আর যেই না দোকানের শোকেসে এসব দেখছেন রসনাপ্রিয় বাঙালি, অমনি দোকানে ঢুকে তা কেনা চাইই চাই৷ আপনি বিজেপি সমর্থক হোন বা কংগ্রেস, তৃণমূল হোন বা সিপিএম,  নিজের পছন্দের দলের মিষ্টিটি ঠিক হাতের নাগালে পাবেনই পাবেন৷ তবে রেস্ত কিঞ্চিৎ বেশি৷ পদ্ম আঁকা সন্দেশ কিংবা কাস্তে-হাতুড়ি-তারা খচিত মিষ্টি, একেকটার দাম পড়বে কম করে ৭০ টাকা৷ মিষ্টির আকার যত বড় হবে, ততই দাম বাড়বে৷ সেই দাম ৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন : বঙ্গে ভোট উৎসব, রাজনৈতিক দলের প্রচারে বাংলার বানানের দফারফা]

গত বছর বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন বিভিন্ন দেশের পতাকার রং, জার্সি দিয়ে তৈরি হয়েছিল রকমারি মিষ্টি৷ তাও একেবারে হু হু করে বিক্রি হয়েছিল৷ এমনকী, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি মিষ্টিও তৈরি করতে হিমশিম দশা হয়েছিল কর্মীদের৷ রোনাল্ডো, মেসিদের চাহিদা ছিল তুঙ্গে৷ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেনের সমর্থকদের ভিড় বেড়েই চলেছিল দোকানে৷ এবারও সেই একই ছবি৷ যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকেই পাবেন মিষ্টি৷ তাহলে আর কী? প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিতর্ক করতে গিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেই, তাঁকে নিয়ে যান শিবানী সুইটসে৷ খাইয়ে দিন তাঁর পছন্দের দলের চিহ্ন-সহ একটা গোটা সন্দেশ৷ মনোমালিন্য মিটিয়ে ফের বন্ধুত্বে মাততে এ মিষ্টির জুড়ি নেই৷ তাই ভোট উৎসবের মরশুমে রাজনৈতিক তর্কও চলুক, চলুক মিষ্টিমুখও৷     

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ