Advertisement
Advertisement
দুর্গাপুজো, ইউনেস্কো

বাঙালির দুর্গাপুজোই সব উৎসবের সেরা, স্বীকৃতি ইউনেস্কোর

ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিভাগের তালিকায় নবতম সংযোজন - দুর্গোৎসব৷

Durgapuja is nominated as one o the best festival according to UNESCO
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 2, 2019 12:21 pm
  • Updated:April 2, 2019 7:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার৷’ সত্যি এবার সকলের উৎসবই হয়ে উঠতে চলেছে বাঙালির সেরা উৎসব – দুর্গাপুজো৷ ইউনেস্কোর বিচারে বিশ্বের সংস্কৃতি বিভাগের তালিকায় নাম উঠে গেল বাঙালির দুর্গোৎসবের৷ ২০২০ সালের জন্য তৈরি হচ্ছে এই তালিকা৷ তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন পেল শারদোৎসব৷

প্রতি বছরই ইউনেস্কোর তরফে বিশ্ব সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির উপর নজর দেওয়া হয়৷ ঐতিহ্যের তালিকায় নতুন নতুন সংযোজন হয়৷ সেভাবেই ভারতের বেশ কয়েকটি উৎসব নিয়ে চর্চা হয়েছে ইউনেস্কোর অন্দরে৷ সবকটাকে হারিয়ে বাজিমাত করেছে বাঙালির দুর্গাপুজোই৷ আগামী বছর থেকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের তালিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নাম হিসেবে সংযোজিত হবে দুর্গাপুজো৷ সূত্রের  খবর, দুর্গাপুজো নিয়ে চর্চা করতে গিয়ে ইউনেস্কো কর্তারা এর ‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’ – এই বিষয়টিতেই মজেছেন৷ তাঁদের মতে, একটি উৎসবের মধ্যে এত রকমারি সংস্কৃতির মেলবন্ধন সচরাচর দেখা যায় না৷ তবে দুর্গা পুজোকে ইউনেস্কো পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ায় বিশেষ ভূমিকা ছিল কলকাতার ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের৷ এই ফোরামের সঙ্গে জড়িত একাধিক ক্লাবের কর্তা এবং বেশ কয়েকজন পুজোর শিল্পীই এই উৎসবকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ 

Advertisement

                          [ আরও পড়ুন : নেই আধুনিক চিকিৎসার কোনও সরঞ্জাম, চূড়ান্ত অব্যবস্থা চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে]

ভারতে এই নির্বাচন, মনোনয়নের বিষয়টির দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে থাকা স্বশাসিত সংস্থা সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির উপর৷ অ্যাকাডেমির কর্তারা এমনিতে বাংলার দুর্গাপুজোর সঙ্গে পরিচিত৷ তবে সব উৎসবের মধ্যে থেকে বিচার করাটা কিছুটা কঠিন৷ তবে সেই কঠিন পরীক্ষাতেও সহজেই উতরে গিয়েছে শারদোৎসব৷ চুলচেরা বিশ্লেষণেও পরীক্ষকদের মন জয় করেছে বাংলার ঘরে ঘরে দেবী বন্দনার সুর৷ অ্যাকাডেমির ৫ সদস্যের গবেষক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক তপতী গুহঠাকুরতার কথায় ‘কলকাতার দুর্গাপুজো ইদানিং আলাদা এক শিল্পমাত্রা যোগ করেছে৷ অন্য কোনও উৎসব এভাবে ঐতিহ্য বজায় রেখে আধুনিকতার সংমিশ্রণে উত্তরোত্তর আকর্ষণের পথে যায়নি৷ আর এটাই দুর্গাপুজোকে একেবারে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে৷ তাই সবার সেরা আমাদের দুর্গাপুজো৷’ 

Advertisement

                          [ আরও পড়ুন : মাল্টিপ্লেক্সের দাপট, দর্শকের অভাবে বন্ধ হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মিত্রা]

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতায় আসার পর বাংলার বিভিন্ন উৎসবের প্রচার এবং প্রসারে আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ তাঁর উদ্যোগেই কলকাতা কেন্দ্রিক বড় বড় দুর্গাপুজো শহরের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে৷ জেলা, মফস্বলের পুজোও স্বীকৃতি পাচ্ছে শুধুমাত্র তাঁরই একান্ত আগ্রহ এবং সহযোগিতায়৷ এমনকী পুজোর আনন্দ থেকে একজনও যাতে বঞ্চিত না হন, তার জন্য গত তিন বছর ধরে বিসর্জনের সময়েও তাঁর ভাবনা অনুযায়ী রেড রোডে অনুষ্ঠিত হয় ‘পুজো কার্নিভাল৷’ যেখানে শহর এবং সংলগ্ন পুজো মণ্ডপের প্রতিমা দেখা যায় একসারিতে৷ যা দেখতে ভিড় করেন বিদেশিরাও৷ আর এইসবই দুর্গাপুজোকে অনেকটা উন্মুক্ত করে তুলেছে, ছড়িয়ে দিয়েছে বৃহত্তর পরিসরে৷ যার পুরস্কার স্বরূপ বিশ্বমানের এই স্বীকৃতি৷ ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিভাগের তালিকায় নাম তুলে ফেলা৷    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ