Advertisement
Advertisement
Susanta Ghosh

এলাকায় ফিরছেন সুশান্ত ঘোষ, পার্টি আড়াআড়ি ভাগ হওয়ার আশঙ্কা

আলিমুদ্দিনের কাছে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ জেলা পার্টির।

There is a conflict in CPM district leaders over Sushanta Ghosh | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 5, 2020 9:24 pm
  • Updated:December 5, 2020 9:24 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: মিলেছে বাড়ি ফেরার সুপ্রিম আদেশ। মিলেছে খোয়া যাওয়া পদ। মিলেছে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদের উচ্ছ্বাস। রবিবার ঢাকঢোল পিটিয়ে বাড়ি ফিরছেন প্রাক্তনমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। সঙ্গে যাচ্ছেন বামপরিষদীয় দলনেতা। তাঁর আগমনে চন্দ্রকোনায় হবে বাইক মিছিল ও সভা। স্থানীয় পার্টির উদ্যোগে। কিন্তু অন্ধকারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পার্টি। পার্টির দুই হেভিওয়েট নেতা জেলায় আসছেন। অথচ কিছুই জানা নেই জেলা নেতাদের। আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভযোগ তুলেছে জেলা পার্টি।

একসময় গড়বেতার দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে মাতামাতি যত বাড়ছে ততই বাড়ছে কোন্দল। জেলা পার্টির সঙ্গে বিনা আলোচনাতেই তাঁকে সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা করে দেওয়া হয়। জেলা সম্পাদকও সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন। তিনিও সংবাদমাধ্যম মারফত এই খবর জানতে পারেন বলে জানিয়েছেন জেলা কমিটির এক সদস্য। এখানেই আপত্তি জেলা নেতাদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন : কেন কুকথা বলেন? কারণ ব্যাখ্যা করলেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ]

তাঁদের যুক্তি, সুশান্ত ঘোষ বাড়ি ফিরছেন আপত্তি নেই। কিন্তু একপ্রকার জোর করে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত করা হল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন জেলা পার্টির সঙ্গে আলোচনা করা হল না সেই প্রশ্ন আলিমুদ্দিনের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন জেলা সম্পাদক ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। আলিমুদ্দিনের একতরফা সিদ্ধান্তে জেলা পার্টিতে গোষ্ঠীকোন্দল ফের নতুন করে মাথাচাড়া দেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, সুশান্ত আগে সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বাদ যান। তখনই সম্পাদকমণ্ডলীতে তাঁর নিজস্ব লবি ছিল। জেলার বাইরে থাকার কারণে তাঁর ঘনিষ্ঠরা চুপ ছিলেন। স্বমহিমায় তিনি ফিরছেন শুনে তাঁর ঘনিষ্ঠরা অতিসক্রিয় হয়ে উঠছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে তাঁর আগমনে জেলা পার্টি আড়াআড়িভাবে ভাগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সিপিএমের প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে রাজ্য কমিটির সদস্য করে গোটা রাজ্যে ঘোরালে পার্টি অনেক বেশি লাভবান হত বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক হেভিওয়েট নেতা।

Advertisement

সুশান্ত ঘোষের আজকের সভা ঘিরেও তৈরি হয়েছে জটিলতা। যেহেতু পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলা নেতৃত্ব অন্ধকারে তাই চন্দ্রকোনার সভায় তাঁরা উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়েও দ্বিধায় রয়েছেন। আবার পরিষদীয় দলনেতার সভায় হাজির না থাকলে প্রশ্ন উঠবে পার্টির অন্দরে। কেন জেলার শীর্ষনেতৃত্ব গরহাজির ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা। সেক্ষেত্রে প্রথম থেকে জেলার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে এমন জটিলতা তৈরি হত না বলে ধারনা পার্টি নেতৃত্বের।

[আরও পড়ুন : মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন? মুখ খুললেন মৌসম বেনজির নূর]

আবার সুশান্ত ঘোষের এলাকায় ফেরা নিয়ে যে পদ্ধতিতে প্রচার করা হচ্ছে তাতেও আপত্তি জানিয়েছেন জেলার নেতারা। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে অনেকক্ষেত্রেই তাঁকে পার্টির ঊর্ধ্বে তুলে ধরা হয়েছে। যা পার্টির নীতিবহির্ভূত কাজ বলেই ধরা হয়। পার্টির কোনও নেতৃত্বকে নিয়ে এই ধরনের প্রচার দক্ষিণপন্থী সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই। তারও বিরোধিতা করেছে জেলা পার্টি। পুরো বিষয়টি নিয়ে আলিমুদ্দিনে নালিশ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ