Advertisement
Advertisement

Breaking News

কর্মবিরতি

কর্মবিরতিতে গা ভাসাননি, গাছতলায় রোগী দেখে নজির গড়লেন চিকিৎসক

চিকিৎসকের উদ্যোগে স্বস্তিতে রোগীরা৷

Through the doctors strike going on, hospital facility is normal in asansole
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 13, 2019 9:33 pm
  • Updated:June 13, 2019 9:33 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: চিকিসকদের কর্মবিরতিতে নাজেহাল রোগীরা, সেখানেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিসকরা৷ বুধবারের মতই বৃহস্পতিবারও  স্বাভাবিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলেছে এই হাসপাতালে৷ এমনকী রোগীদের বিশাল লাইন সামাল দিতে হাসপাতালের বাইরে গাছতলায় বসেও রোগী দেখলেন এক চিকিসক

[আরও পড়ুন: বামের ভোট রামে! পুরুলিয়ায় ‘গদ্দার’-দের চিহ্নিত করে বহিষ্কার সিপিএমের]

নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাটা শুরু হয় বেলা দশটা থেকে৷ সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় চিকিসা৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার জেলা হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ ও শল্য চিকিসক ডাঃ নির্ঝর মাজি সকাল ৯টা নাগাদ পৌঁছান হাসপাতালে৷ হাসপাতালের চেম্বার না খুললেও, রোগীদের লাইন দেখে পার্কিং-এর কাছে গাছতলায় বসে পড়েন তিনি৷ মূহূর্তের মধ্যে সেখানেই ভিড় জমান রোগীরা৷ গাছতলায় বসেই তিনি শুরু করেন রোগীদের পরীক্ষা করা। এরপর বেলা বারোটায় চেম্বারে বসেন তিনি৷ নির্ঝর মাজি জানান, “বুধবার চিকিসকদের কর্মবিরতি ছিল৷ ফলে সবাইকে সময়মতো দেখা যায়নি৷ চাপ কমাতে তাই আজ সকাল সকাল চলে এসেছি।” 

Advertisement

চিকিসক হিসেবে এলাকায় সুনাম রয়েছে নির্ঝর মাজির৷ তিনিই প্রথম চিকিসক, যিনি সরকারি হাসপাতালে হাঁটু প্রতিস্থাপন, হিপ প্রতিস্থাপনের পর জটিল অস্ত্রপচারে সফলতা পেয়েছেন৷ তবে শুধু বৃহস্পতিবার নয়, এভাবে এর আগেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে গাছতলায় বসে রোগীদের চিকিসা পরিষেবা দিয়েছেন তিনি৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মঘাতী কিশোরী, প্রেমিকের বাড়িতে তাণ্ডব পরিজনদের]

অন্যদিকে, বুধবারের কর্মবিরতি শেষে মানবিকতার খাতিরেই পরিষেবা দিতে এগিয়ে আসেন আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও৷ তবে এনআরএস ঘটনার প্রতিবাদে এদিনও বুকে কালো ব্যাজ পরেছিলেন চিকিৎসকরা৷ মানুষকে পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ থাকলেও তাঁদের কাছে নিরাপত্তার প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ছেড়ে কাজে যোগ দেওয়ায় হাসপাতালের পরিস্থিতি যেমন স্বাভাবিক হয়েছে,তেমনই রোগী ও রোগীর পরিবারও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ