ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে উত্তাল রাজনীতির অলিন্দ। শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের মধ্যেই চলছে অভিযোগ, পালটা অভিযোগের পালা। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। প্রয়োজন হলে তাঁকে ফোন করার কথাও বললেন তিনি।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বাইরের রাজ্য থেকে যে সব পরিযায়ী শ্রমিকরা এসেছেন তাঁরা কেউ না খেয়ে থাকবেন না। খাবারের কোনও অভাব নেই। বীরভূমের ১৯টি ব্লক সভাপতিদের বলা হয়েছে শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করতে। তাঁদের খাবার না থাকলে খাবারের ব্যবস্থা করতে। এরপরেও যাঁদের অসুবিধা হবে তাঁরা সরাসরি আমাকে ফোন করবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি।”
[আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় অবহেলা, বরখাস্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ২৬ জন চিকিৎসক]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়েছিলেন। কেউ কেউ পরিযায়ী শ্রমিকদের প্ররোচনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই একই সুর অনুব্রত মণ্ডলের গলাতেও। তিনি বলেন, “বিজেপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। লকডাউন ঘোষণার আগে ৫ দিন ট্রেন চালালে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কোন সমস্যা থাকত না। সবাই সবার জায়গায় পৌঁছে যেতেন। কিন্তু মোদি সরকার তা করেনি। আজকে শ্রমিকেদের হেঁটে বাড়ি ফিরিতে হচ্ছে। যে সব ট্রেন আসছে তার রুট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মা, মাটি, মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সবার জন্য খাবারের কাজের ব্যবস্থা করেছেন।”
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি আমফানে রাজ্যের ক্ষতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অনুদান নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, “আমফানে রাজ্যের এত ক্ষতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র মাত্র এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এতে কি হবে? মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের উপর ভরসা না করে নিজেই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন।”