আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: সোমবার বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন পেশ করলেন ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। চিরাচরিত পোশাক ছেড়ে এদিন অন্য সাজে মনোনয়ন জমা দিতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিনেশ ত্রিবেদী-সহ তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা, নির্বিঘ্নে ভোট দিলেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটাররা]
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ আসনে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা তৈরি করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যস্তরের বহু নেতা,মন্ত্রী, বিধায়কের উপর ভরসা রেখে তাঁদের এগিয়ে দিয়েছেন দিল্লির লড়াইয়ে৷ ফলে বিধায়ক পদগুলি খালি হয়ে যাওয়ায় সেসব জায়গায় উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে৷ ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মদন মিত্রের উপরই ভরসা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই সোমবার বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন মদন মিত্র। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কামারহাটি থেকে বাইকে তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী, সমর্থকেরা বারাকপুরে আসেন। প্রথম থেকেই প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন দিনেশ ত্রিবেদী। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন পেশ করেন মদন মিত্র।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেছেন, ভাটপাড়ার গুণ্ডাকুলে গিয়ে শান্তির মশাল জ্বালাতে, আমি সেই নির্দেশ পালন করব।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “ভাটপাড়ার লড়াই গুণ্ডাবাহিনী বনাম গণদেবতার।” এদিন অর্জুন সিং-কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “একদল বংশ পরম্পরায় ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতীরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাঁরা। তবে এবার তার অবসান হবেই।”
[আরও পড়ুন: ভোটের দিনই কোলে এল ‘মমতা’, প্রিয় নেত্রীর নামে মেয়ের নামকরণ তৃণমূল কর্মীর]
আগামী ১৯ মে ভাটপাড়া বিধানসভায় উপনির্বাচন৷ সোমবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মদন মিত্র ছাড়াও এদিন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন পুত্র পবন সিং, কংগ্রেস প্রার্থী সাজদা আহমেদ হোসেন ও সিপিএম প্রার্থী রঞ্জিত মণ্ডলও মনোনয়ন জমা দেন। মদন মিত্রে আত্মবিশ্বাসে সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে, তবে কী মদনের কামব্যাকে এবার নিজের ‘গড়’ হাতছাড়া হতে চলেছে অর্জুনের? উত্তর মিলবে ভোটবাক্সের ফলাফলে।