Advertisement
Advertisement
Vishva Bharati

‘লেখার সমালোচনা করে হয়রানি হতো রবীন্দ্রনাথ, নীরোদ চৌধুরীকে’, ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য

'ওয়েবসাইটকে ব্যক্তিগত কাজে লাগাতে চাইছেন উপাচার্য', সমালোচনা সব মহলে।

VC of Vishva Bharati University agains raises controversy for comment on Rabindranath Tagore, Nirad C Choudhuri | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 5, 2023 9:55 am
  • Updated:September 5, 2023 10:10 am

দেব গোস্বামী, বোলপুর: ফের বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সোমবার বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে ‘উপাচার্যের ডেস্ক থেকে’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। আর তিনি বলেন, “এটা খুবই স্বস্তির বিষয় নীরদ চৌধুরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সজনীকান্ত দাস আর নেই। অন্যথায় তাঁদের বিভিন্ন লেখায় উপলব্ধি প্রকাশ করার জন্য হয়রানির শিকার হতে হত। রবীন্দ্রনাথও (Rabindranath Tagore) চরিত্রপূজার ১৮৯৫ সালের বনগালীদের সম্পর্কে অকপট মতামতের জন্য সমানভাবে নির্যাতিত হতেন। রাজনারায়ণ বসুও রাজনৈতিকভাবে প্রকৌশলী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা হয়রানি শিকার হতেন। যেখানে পবিত্র উৎসবকে কাজে লাগানোর জন্য জেন্টাস কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। দুর্গাপুজো ব্রিটিশ শাসকদের খুশি করার জন্যই – তিনি যদি এই লেখাটি এখন একবিংশ শতাব্দীতে লিখতেন তবে রাষ্ট্রের ক্রোধ এড়াতে পারতেন না।”

Advertisement

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা নিয়েও সমালোচনা শোনা গেল উপাচার্যের (VC) গলায়। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল কর্মী মোটা বেতন ভোগকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত, শৃঙ্খলাহীন ও বিপজ্জনক। যাঁরা রবীন্দ্রনাথের উত্তরাধিকারী স্বঘোষিত রক্ষক হয়ে খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসাত্মকভাবে ক্ষতির জন্য কার্যকলাপে লিপ্ত। বিশ্বভারতী ছিল দুর্নীতির আস্তানা। বর্তমান প্রশাসন বিপথগামী শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই অবৈধভাবে ৭২ একর জমির মধ্যে ১৫ একর জমি পুনরুদ্ধার করেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান, নামের তালিকা শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী

যদিও উপাচার্যের এসব বক্তব্যকে আমল দিচ্ছে না অধ্যাপক ও কর্মীদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, “এমন মন্তব্য উপাচার্যের ঘনিষ্ঠরাও গুরুত্ব দেয় না। তাঁর একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০টি মামলা এবং উপাচার্যের ব্যক্তিগত নামে ৯টি মামলায় এখন হিমশিম অবস্থা। মেয়াদের মাত্র দু’মাসের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্ষমতা সংকুচিত হওয়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ওয়েবসাইটকে উপাচার্য ব্যক্তিগত প্রচারের কাজে লাগাতে চাইছেন।” স্বাভাবিকভাবে এই মন্তব্যের জেরেই সর্বস্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

[আরও পড়ুন: ৬৮ বছরে তৃতীয় বিয়ে সারলেন বিখ্যাত আইনজীবী হরিশ সালভে, পাত্রীকে চেনেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ