দেবব্রত মণ্ডল, বাসন্তী: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Tragedy) স্বজনহারাদের পাশে রাজ্যপাল। সোমবার ফোন কথা বলার পর মঙ্গলবার সকালেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ছড়ানেখালি গ্রামে সন্তানহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। তাঁকে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে গায়েন পরিবার। যাঁরা বালেশ্বরের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তিন ছেলেকে হারিয়েছেন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এদিন সকাল দশটার নাগাদ রাজ্যপাল আসেন সন্তানহারা সুভদ্রা গায়েনের বাড়িতে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁর তিন ছেলে হারাণ গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন মৃত্যু হয়েছে। গায়েন বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন স্বজনহারা অন্য দুই পরিবারের সঙ্গেও। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে সেনা-পুলিশ সংঘর্ষ! জেনে নিন ভাইরাল খবরের সত্যিটা]
স্বজনহারাদের পরিবারদের পাশে দাঁড়াতে আপাতত ৬ মাস তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে দেবেন রাজ্যপাল। তাছাড়াও পারলৌকিক কাজের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, ফল, জামাকাপড়-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাজ্যপাল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। বাসন্তীর বিডিওর মাধ্যমে দ্রুত সেগুলো তাঁদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মৃতদের শ্রাদ্ধের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজভবন। যাদের ‘জনধন’ অ্যাকাউন্ট আছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল।
স্থানীয় মানুষজন রাজ্যপালকে পেয়ে বেশকিছু অভাব অভিযোগের কথাও জানান। বিশেষ করে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা, নদী বাঁধার সমস্যা সবটাই শোনেন রাজ্যপাল। বিডিওকে ডেকে রাজ্যপাল সমস্ত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন। এলাকার মানুষজন পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন। এলাকায় কোনও কাজ নেই। তাও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকার বেকার যুবকরা। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।