Advertisement
Advertisement

বাংলার নাম মুছে বসল ঝাড়খণ্ড, ম্যাসাঞ্জোর ইস্যুতে তরজা চরমে দুই রাজ্যের

অভিযোগ দায়ের সেচ দপ্তরের।

WB irrigation ministry filed an FIR against Jharkhand Govt.
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 4, 2018 6:37 pm
  • Updated:August 4, 2018 6:38 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ম্যাসাঞ্জোরের লোগো বিতর্কে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তর। শনিবার ম্যাসাঞ্জোর থানায়  বিশ্ব বাংলার লোগো মোছা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামের ওপর ঝাড়খণ্ড সরকার নাম চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের নির্দেশে ম্যাসাঞ্জোরের পরিস্থিতি নিয়ে দুমকার ডিসির সঙ্গে কথা বলেন বীরভূম জেলাশাসক। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, দুমকার ডিসি দেওঘরে শ্রাবণী মেলা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তবুও আমাদের বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

[জোড়া মিছিলে তুলকালাম, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদহ]

রং রাজনীতির বিবাদে জমে উঠেছে দুই রাজ্যের শাসকদলের তরজা। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ম্যাসাঞ্জোর জলাধারের ওয়েলকাম বোর্ডের ওপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশ্ব বাংলা লোগোর ওপর চিটিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ডের নিজস্ব লোগো। এমনকি গভর্নমেন্ট অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল লেখার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকারের নাম। যাকে ঘিরে দুই রাজ্যের তৃণমূল ও বিজেপির তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বীরভূমের সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা রাজ্যস্তরে বিষয়টি জানাবেন বলে জানান। রাজ্যের নির্দেশে ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের দায়িত্বে থাকা শ্যামাশিস রায় শনিবার বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় ম্যাসাঞ্জোর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও দুমকার বিজেপি জেলা সভাপতি নিবাস মণ্ডল জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রক্ষণাবেক্ষণ করছেন ঠিক আছে। কিন্তু ওয়েলকাম বোর্ডটি ঝাড়খণ্ডের দরবাপুর পঞ্চায়েতে। বাঁধটি আমাদের ঝাড়খণ্ডে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো তাদের বোর্ড আমাদের রাজ্য সড়কের ওপর লাগাতে দেব কেন? এনিয়ে আমাদের রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এদিকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছেন। তাই নীল-সাদা থেকে সবেতেই জুজু দেখছে। ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন করে দিচ্ছে দিদি। আর তাতে লোগো লাগাচ্ছে বিজেপি। এ চলতে পারে না।’

Advertisement

[রাজদরবারের জমির দলিলেই নাগরিকত্ব! ব্যাপারটা কী?]

তবে বিষয়টি দুটি রাজ্য সরকারের বিষয় তাই দুই রাজ্যের সরকার বিষয়টির ওপর নজর রেখেছে। শনিবার বীরভূম জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, ‘আমি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকার ডিসিকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। উনি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

Advertisement

ছবি: বাসুদেব ঘোষ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ