Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP West Bengal Police

‘আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি’, বিজেপির সমর্থকের পাগড়ি খোলার ঘটনার ব্যাখ্যা দিল পুলিশ

মারধরের জন্য নয়, ধস্তাধস্তিতে একাই খুলেছে বিজেপি সমর্থকের পাগড়ি, দাবি পুলিশের।

West Bengal Police calims BJP workers Pagri Pagri fallen off automatically in the scuffle |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 10, 2020 9:39 am
  • Updated:October 10, 2020 10:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ বিজেপির নবান্ন (Nabanna) অভিযানের দিন শিখ ধর্মাবলম্বী বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি পুলিশকর্মীরা খুলে দেননি। বলবিন্দরের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারির আগে ধস্তাধস্তির সময় ওই বিজেপি (BJP) কর্মীর পাগড়ি খুলে যায়। শুক্রবার এক টুইটে এমনটাই দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। দাবির স্বপক্ষে একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। রাজ্য পুলিশ এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা তাঁদের লক্ষ্য নয়। সব ধর্মকেই সম্মান করে তারা। 

ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের (Harbhajan Singh) একটি টুইটের পর কলকাতার রাস্তায় শিখ ধর্মাবলম্বী বিজেপি কর্মীর পাগড়ি খোলা নিয়ে হঠাতই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেটারের অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা জোর করে শিখ সম্প্রদায়ের ওই বিজেপি সমর্থকের পাগড়ি খুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন যে ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়, সেই বলবিন্দর সিংকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এক সংবাদমাধ্যমের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলবিন্দর সিংকে পাকড়াও করতে গিয়ে তাঁকে মারধর করছে পুলিশ। দুর্ভাগ্যবশত মারধর এবং ধস্তাধস্তির মধ্যে কোনওভাবে বলবিন্দরের পাগড়িটি খুলে যায়। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। খোদ হরভজন সিং এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

[আরও পড়ুন: ভাইরাল ভিডিওয় শিখ সমাজের অপমানে গর্জে উঠলেন হরভজন, মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ]

যদিও রাজ্য পুলিশ পালটা এক টুইটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি,”বিজেপির বিক্ষোভে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওঁর পাগড়ি ধস্তাধস্তির সময় এমনিই খুলে পড়েছে। আমাদের আধিকারিক কখনওই পাগড়ি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেননি। কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করাটা আমাদের অভিপ্রায় নয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সব ধর্মকে সম্মান করে। আমাদের আধিকারিক গ্রেপ্তারির আগে বারবার ওই ব্যক্তিকে পাগড়িটি ঠিক করে নিতে অনুরোধও করেছিলেন। আমরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।” নিজেদের টুইটে গ্রেপ্তারির ঠিক আগের মুহূর্তে তোলা বলবিন্দরের একটি ছবিও পোস্ট করেছে রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। যাতে তাঁকে একেবারে সঠিকভাবে পাগড়িটি পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ