BREAKING NEWS

২০ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  রবিবার ৪ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

স্বামীকে খুন করেছে তৃণমূলই, থানায় অভিযোগ দায়ের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের স্ত্রীর

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: July 14, 2020 5:15 pm|    Updated: July 14, 2020 5:18 pm

Wife of BJP MLA in Hemtabad lodges FIR against TMC claiming murder of husband

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: আত্মহত্যা করতেই পারেন না স্বামী। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে, এবং এর পিছনে রয়েছে শাসকদলই। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে রায়গঞ্জ থানায় এই অভিযোগই দায়ের করলেন স্ত্রী চাঁদিমা রায়। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কোনওরকম সিজার লিস্ট ছাড়াই পুলিশ বিধায়কের ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় ঘনিয়ে উঠছে রহস্য। যদিও মঙ্গলবার সকালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। সেসব জানতে চেয়েই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। রাজ্য সরকার সিআইডি-কে তদন্তভার দিলেও তাতে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতারা। তবে এবার বিধায়কের স্ত্রীর অভিযোগের পর ঘটনা তৃণমূলের যোগ নিয়েও সংশয় জোরদার হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের শার্টের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে দু’জনের নাম উল্লেখ রয়েছে – নিলয় সিনহা এবং মামুদ আলি। আবার স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দু’জনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। যদিও এবিষয়ে পুলিশ কিছু উল্লেখ করেনি।

[আরও পড়ুন: বানারহাটে বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল চিতাবাঘ, স্বস্তিতে স্থানীয়রা]

জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১টা নাগাদ কেউ বা কারা বিধায়ককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে চায়ের দোকানে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তাতেই পরিবারের সদস্যরা খুনের সম্ভাবনা জোরাল বলে মনে করছেন। দেবেন্দ্রনাথ রায়ের এক আত্মীয়ার দাবি, তিনি দেড় কিলোমিটার হেঁটে যেতেই পারেন না। কারণ, হাঁটুতে প্রবল সমস্যা ছিল বিধায়কের। তাই কেউ তাঁকে অতটা দূরে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি ওই আত্মীয়ার।

[আরও পড়ুন: এবার অ্যাম্বুল্যান্সের ইঞ্জিন চুরিতে নাম জড়াল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের! তুঙ্গে বিতর্ক]

এদিকে, বিধায়কের স্ত্রী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন আগে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের নিজের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গিয়েছিল। তিনি স্ত্রীর ফোনটাই ব্যবহার করছিলেন। সোমবার রাতে পুলিশ সেই ফোন-সহ বেশ কয়েকটি জিনিস নিয়ে গিয়েছে তদন্তের স্বার্থে। স্ত্রীর অভিযোগ, জিনিসগুলি কোনও সিজার লিস্ট ছাড়াই পুলিশ নিয়ে গিয়েছে এবং ফেরৎ দিচ্ছে না। তাঁর প্রশ্ন, তদন্তের স্বার্থেই যদি মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস পুলিশ নিজেদের কাছে রাখতে চায়, তাহলে নিয়ম মেনে সিজার লিস্ট কেন দিচ্ছে না? সবমিলিয়ে, একদিকে পরিবার ও দল, অন্যদিকে পুলিশের দাবি – দুই ঘিরেই যথেষ্ট সংশয়ের অবকাশ দেখা দিয়েছে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায়।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে