অভিরূপ দাস: দেশের স্বাধীনতার থেকেও তার বয়স কুড়ি বছর বেশি। চুরানব্বইয়ের ফাদার পিটার ভিনসেন্ট লর্ডস হেলায় হারালেন করোনাকে। স্বাধীনতা দিবসের দিনেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন। “ভাইরাসকে হারিয়ে উনি-ই তো বেঁচে থাকার স্বাধীনতা চিনিয়েছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন এভাবেও ফিরে আসা যায়।” এমন চিন্তা থেকেই ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, এবছর হাসপাতাল চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ডন বস্কোর ফাদার।
৯৪ বছরের পিটার যখন পতাকা তুলছেন দূরে কোভিড ওয়ার্ডের জানলা দিয়ে চকচকে মুখগুলোয় ঝলকে উঠছিল আত্মবিশ্বাস। “উনি পারলে আমরাও পারব।” সমবেত করতালি আর পুস্পস্তবকে বরণ করে ফর্টিস হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল পিটারকে। গত ২২ জুলাই কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে পিটারের। তার আগে দিন তিনেক ধরে শরীর খারাপ ছিল। প্রথমে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ৩০ জুলাই তাঁকে ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইন্টারনাল মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. বাসব বিজয় সরকারের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
ডা. সরকার জানিয়েছেন, উনিই আমার অধীনে থাকাপ্রবীণতম করোনা রোগী। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল পিটারের। ছিল ক্রনিক আর্থারাইটিস। কিন্তু মানসিকভাবে হার মানেননি কখনও। ডা. সরকারের কথায়, প্রথম দিন থেকেই দেখে মনে হয়েছিল উনি হারতে রাজি নন। সবসময় বেঁচে থাকার কথাই ওঁনার মুখে লেগে থাকত। ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোমরবিডিটিও যে ভয়ের কারণ নয় তারই প্রমাণ রেখে গেলেন পিটার ভিনসেন্ট লর্ডস। তেরঙ্গা নিশান তাঁর হাতে তুলে দিতে আপ্লুত ফর্টিসের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.