সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিসিসিআই অফিস বন্ধ। সিএবিও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত। দাদাগিরি গ্র্যান্ড ফিনালে ২০ মার্চ হওয়ার কথা থাকলেও, সেটা যে এখন হবে না বলে দেওয়াই যায়। আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও কিছুটা ব্রেক পেয়ে গিয়েছেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার বিকেলে ইনস্টাগ্রামে একটা ছবি পোস্ট করলেন। লিখলেন, “করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিকেল পাঁচটার সময় লাউঞ্জে বসে রয়েছি। একদম ফ্রি। কোনও কাজ নেই। আমি মনে করতে পারছি না, শেষ কবে এভাবে সময় কাটিয়েছিলাম।” একই পরিস্থিতি বাংলার রণজি দলের খেলোয়াড়দেরও।

ঠিক করেছিলেন ছুটিতে কোথাও একটু ঘুরে-টুরে আসবেন। ঘুরতে যাওয়া তো দূরের কথা, করোনা আতঙ্কে এখন প্রায় বাড়ি থেকে বেরোনোই বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটাররা। পাঁচদিন আগে রনজি ফাইনাল খেলে ফিরেছেন, তারপর থেকেই অনেকে নিজেদের গৃহবন্দি করে ফেলেছেন। রনজি কোয়ার্টার, সেমিফাইনালের নায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার যেমন প্ল্যান করেছিলেন রনজি শেষে জঙ্গলে ঘুরতে যাবেন। জঙ্গল অনুষ্টুপের সবসময়ই ঘুরতে যাওয়ার সেরা ডেস্টিনেশন। এবার ঠিক করে রেখেছিলেন পেইঞ্চে যাবেন। কিন্তু এখন সে’সব বাতিল করে দিতে হয়েছে। বুধবার অনুষ্টুপ বলছিলেন, “কিছু করার নেই। এই পরস্থিতিতে ট্যুর বাতিল করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। ঠিক করেছিলাম পেইঞ্চে গিয়ে কয়েকটা দিন ছুটি কাটিয়ে আসব। তারপর ক্লাব ক্রিকেটে ফিরব। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।” বাইরে যাওয়া ছেড়ে দিন, বাড়ি থেকে বেরনো কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন। অনুষ্টুপের স্ত্রী’র অফিসেও বলে দেওয়া হয়েছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে। অফিসে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। বঙ্গ ক্রিকেটার বলছিলেন, “সোনালি (অনুষ্টুপের স্ত্রী) বাড়ি থেকে কাজ করছে। ওদের বলে দেওয়া হয়েছে, অফিসে আসার দরকার নেই। বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। ছেলের স্কুল বন্ধ। তাই আমরা খুব প্রয়োজন না হলে কেউই বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছি না।’’

[আরও পড়ুন : করোনায় স্পেনে মৃত্যু মিছিল, কোয়ারেন্টাইনে গেলেন ATK কোচ হাবাস]
অনুষ্টুপের মতো ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছেন বাংলার বোলিং কোচ রণদেব বসু। তিনি অবশ্য এখন নয়, জুনে ইউরোপ যাওয়ার প্ল্যানিং করে রেখেছিলেন। আসলে রণদেব এক চ্যানেলে কমেন্ট্রি করেন। তাই ঠিক করেছিলেন আইপিএলের পর ইউরোপ যাবেন। রণদেব বলছিলেন, তিন মাস পরও ইউরোপ যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বলছিলেন, “রনজির পর আইপিএল ছিল। তাই ঠিক করেছিলাম কমেন্ট্রির কাজ-টাজ সব ছেড়ে একেবারে জুনে ইউরোপ ঘুরতে যাব। আমাদের সব প্ল্যানিং হয়ে গিয়েছিল। কয়েক দিন পর টিকিটও কেটে নিতাম। কিন্তু এখন ওসব ভাবতেই পারছি না। আর এখন যে রকম পরিস্থিতি হয়েছে তাতে তিন কেন ছয় মাস পরও ইউরোপে ঘুরতে যাওয়ার কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।’’