সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মরশুমে মুক্তি পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’। এই নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে বহুদিন ধরেই। নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির উপর। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্মাতাদের নোটিসও পাঠিয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশনকেই পালটা নোটিস পাঠাল বম্বে হাই কোর্ট।
সমাজসেবী সতীশ গায়কোয়াড়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি নরেশ পাটিল ও বিচারপতি এন এম জামদার মোদির বায়োপিকের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বলে খবর। আদালতের তরফে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে এও জানানো হয়েছে, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির ট্রেলার যেন সমস্ত সোশ্যাল সাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়। আবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটি যে দিনে ও সময়ে মুক্তি পাবে, তা যদি হয়, তবে সেটি নির্বাচন বিধির নীতি লঙ্ঘন করবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট।
[ আরও পড়ুন: মালাইকা-অর্জুনের বিয়ের খবরে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন আরবাজ? ]
‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির মুক্তি পিছনোর দাবিতে এর আগেও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। ছবিটির উপর নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, এমন দাবি তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেসও। এমনকী নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। ছবির নির্মাতাদের নোটিস ধরায় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনও রাজনৈতিক ছবির প্রদর্শন করা যায় না। ৩০ মার্চের মধ্যে নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে যান তাঁরা৷ কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয় টিম ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’৷ প্রযোজকদের দাবি, গেরুয়া শিবিরের কারও কোনও সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজেদের টাকাতেই ছবি তৈরি হয়েছে৷ এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁদের একটাই বক্তব্য, ছবি মুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হলে বা পিছিয়ে দেওয়া হলেও সেলুলয়েডের মোদি গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করবেই৷ বিতর্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে সেলুলয়েডের মোদিকে নিয়ে আগ্রহ৷ ছবি আদতে নির্ধারিত সময়ে মু্ক্তি পায় কি না এবং তা কতটা দর্শক মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেটাই এখন দেখার৷
[ আরও পড়ুন: মন ছুঁয়েছে ভাষণ, মোদির বক্তৃতা নিয়ে গান গাইলেন লতা মঙ্গেশকর ]