সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ক্রমেই মহামারীর আকার নিচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত হতে বাদ নেই ইউরোপ, আমেরিকাও। বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। ত্রাস ছড়িয়েছে ভারতের বিনোদুনিয়াতেও। একদিকে রণবীর কাপুর যখন করোনার ভয়ে মুখে মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন বলিউড পরিচালক সুজিত সরকার এই মারণ ভাইরাসের জন্য দায়ী করেছে আধুনিক মানব সভ্যতাকে। আর সেই ‘করোনা’ আতঙ্ক নিয়ে মিম শেয়ার করেই বিতর্কে জড়ালেন বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সি। নেটিজেনরা ‘বর্ণবিদ্বেষী’র তকমাও সাঁটলেন অভিনেতার উপর।
করোনা ভাইরাসের মতো গুরুতর বিষয় যা আন্তর্জাতিক ময়দানেও সবার কপালেই ভাঁজ ফেলে দিয়েছে, সেরকম একটি বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করে মিম টুইট করেছিলেন। আর তাতেই আরশাদের উপর ক্ষেপে গিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। এমনকী, আরশাদকে অতি সত্ত্বর সেই টুইট ডিলিট করার আরজিও জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এ বিরাট-দীপিকা! গ্রিলসের সঙ্গে জঙ্গল অভিযানে যাচ্ছেন ২ তারকা]
কী এমন টুইট করেছিলেন আরশাদ ওয়ারসি যে বিতর্কের মুখে পড়তে হল অভিনেতাকে? ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবির একটি দৃশ্যে যেখানে এক চিনা নাগরিককে বস্তাবন্দি করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে গুম করার চেষ্টা করেছিল সার্কিট। সেই দৃশ্যটি একটি মিমের আকারে টুইট করেছিলেন আরশাদ। যিনি কিনা ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সার্কিট চরিত্র দিয়েই দর্শককুলের নজর কেড়েছিলেন। ওই ছবির পাশাপাশি ক্যাপশনে আরশাদ লিখেছেন, “আমার এক বন্ধু এইমাত্র আমাকে এই অভিনব জিনিসটি পাঠাল।” আর এতেই ঘটে বিপত্তি!
আরশাদ নিছক মজার ছলেই টুইট করেছিলেন ওই ছবি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা না-পসন্দ নেটিজেনদের একাংশের। আরশাদকে কটাক্ষ করে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ বলেও মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। পালটা টুইট করে অনেকে লিখেছেন, “অবিলম্বে এই টুইট ডিলিট করুন। আপনি এভাবে বর্ণবিদ্বেষী হতে পারেন না। এতে চিনা নাগরিকদের উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এমনকী, উত্তরপূর্ব ভারতের নাগরিকরাও হামলার শিকার হতে পারেন এমন নির্বোধ মিমের জন্য।”
[আরও পড়ুন: মেয়ের প্রায় উন্মুক্ত স্তন, প্রিয়াঙ্কার গ্র্যামি পোশাক বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মা মধু চোপড়া ]
My friend just sent me this very valuable info… pic.twitter.com/QKAlH7rttS
— Arshad Warsi (@ArshadWarsi) January 31, 2020