Advertisement
Advertisement
বাদশা রতন কাহার

‘রয়্যালটির অর্ধেকটা রতন কাহারকে দিতে চাই’, ‘গেন্দাফুল’ বিতর্কে মন্তব্য বাদশার

সম্প্রতি, বীরভূমের এই লোকশিল্পীকে ৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন বাদশা।

Badshah wants to share half royalty of Genda Phool with Ratan Kahar
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 11, 2020 3:05 pm
  • Updated:April 11, 2020 3:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমি ওঁর (রতন কাহার) সঙ্গে ‘গেন্দাফুল’ গানের অর্ধেক রয়্যালটি শেয়ার করতেই চাই”, মন্তব্য ব়্যাপার বাদশার। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাংলার লোকশিল্পী রতন কাহারকে আর্থিক সাহায্য করবেন। কথামতো, লকডাউন কাটার আগেই সেই টাকা পৌঁছে গিয়েছে রতনবাবুর অ্যাকাউন্টে। এবার জনপ্রিয় ‘গেন্দাফুল’ গানের রয়্যালটিও রতন কাহারের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা জানালেন বাদশা।

গত সোমবার, ৬ এপ্রিল বীরভূমের এই লোকশিল্পীকে ৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন বাদশা। তবে গানের ‘রয়্যালটি’ নিয়ে এযাবৎকাল মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বাদশা জানিয়েছেন যে, তিনি রতন কাহারকে চিনতেন না। তবে এখন তাঁর ব্যাপারে জেনে, তাঁর সঙ্গে কথা বলে এবং রতন কাহারের গলায় গান শুনে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। আর ওঁর মতো গুণী শিল্পীর প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

Advertisement

বাদশার কথায়, “সত্যিই যদি আমরা গান চুরি করতাম, তাহলে এতদিনে আমাদের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হত। রতনবাবুর আসল গানটি এর আগেও বহুবার রিক্রিয়েট করা হয়েছে। এমনকী, বাংলা ছবিতেও এই গান ব্যবহার করা হয়েছে। কখনওই কেউ রতনবাবুর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। দোতারা স্যাম্পল হিসেবে গত ৬ বছর ধরে এই গানটি নিয়ে আমি ঘুরছি। তাই আমিও জানতে পারিনি এটা ওঁর গাওয়া। তবে একজন শিল্পীর কাছে রয়্যালটি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি চাই, এই গানটি থেকে অর্জিত রয়্যালটির অর্ধেকটা ওঁর সঙ্গে ভাগ করে নিতে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘চা কাকু’ মৃদুল দেবের পাশে মিমি চক্রবর্তী, খাদ্যসামগ্রী পাঠালেন সাংসদ]

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দিনে ‘গেন্দাফুল’ গানটি চার্টবাস্টার তালিকার পয়লা নম্বরে থাকলেও এই গানের জন্য ইতিমধ্যেই বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বাদশা। মিউজিক ভিডিওয় সৌজন্যমূলকভাবে রতন কাহারের নাম উল্লেখ না করায় বিদ্ধ হতে হয়েছে সমালোচকদের বাঁণে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, যার পর মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩১ মার্চ ‘গেন্দাফুল’ গান এবং বাংলার রতন কাহার প্রসঙ্গ নিয়ে তড়িঘড়ি একটি ফেসবুক লাইভ করতে বাধ্য হন। এরপর দিন কয়েক আগেই ‘গেন্দাফুল’ টিমের প্রতিশ্রুতিমতো রতন কাহারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন কাহারের পাশাপাশি তাঁর নাতি-নাতনির পড়াশোনার জন্যেও আর্থিক সাহায্যে করবেন বলে জানিয়েছেন বাদশা। তিনি যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেননি, দিন দুয়েকের মধ্যেই তার প্রমাণ দিয়েছেন ব়্যাপার। লকডাউন পরিস্থিতি কাটলেই বাদশা নিজে সিউড়িতে আসছেন। রতন কাহারের বাড়িতে এসে সশরীরে দেখা করবেন তাঁর সঙ্গে।

তবে উল্লেখ্য, নেটদুনিয়ায় যতই সমালোচনার ঝড় উঠুক, বাংলার এই মাটির মানুষটি কিন্তু বাদশাকে নিজে মুখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, “বাদশা গাইলেন বলেই তাঁর না মটি আবার নতুন করে উঠে এল।” সত্যিই তো, শিল্পীর এই আক্ষেপ তো মোটেই অযৌক্তিক কিছু নয়! বাদশার গান গাওয়ার আগে খুব কম সংখ্যক বাঙালিরাই বোধহয় জানতেন যে ‘বড় লোকের বিটি লো’ গানটির আসল স্রষ্টা রতন কাহার। ঝাঁ চকচকে দুনিয়ায় এই মাটির মানুষটির নাম কোথায় চাপাই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু অনেক বছর বাদে, বাদশার গেন্দাফুল গান নিয়ে হইচই হওয়াতেই আবার নতুন করে উঠে এল রতন কাহারের নাম।

[আরও পড়ুন: ‘খেটে খাওয়া মানুষদের সম্মান করুন’, লকডাউনে শ্রেণিবৈষম্য নিয়ে আয়ুষ্মানের ঝাঁজালো কবিতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ