Advertisement
Advertisement

Breaking News

Akshay kumar

১৬৩০ সালে ইলেকট্রিক বাল্ব! অক্ষয়ের ‘ছত্রপতি’র ফার্স্টলুক দেখে হেসে খুন নেটিজেনরা

১৭৮০ সালে আবিষ্কার হয় ইলেকট্রিক বাল্বের, মনে করান এক নেটিজেন।

Bulbs in 1630? 'lazy filmmaking' Netizens Says abaout Akshay Kumar's Chhatrapati Shivaji Maharaj first look | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 6, 2022 9:16 pm
  • Updated:December 6, 2022 9:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হইহই রইরই ব্যাপার। মারাঠা বীর ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে (Chhatrapati Shivaji Maharaj) নিয়ে সিনেমা হচ্ছে। ছবির নাম ‘বেদত মরাঠে বীর দৌদলে সাত’। বড়পর্দায় ফের ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন অক্ষয় কুমার (Akshay kumar)। এ খবর অবশ্যি পুরনো। মঙ্গলবার নতুন খবর শেয়ার করেছেন বলিউডের খিলাড়ি নিজে। এদিন তাঁর শিবাজি অবতার রূপ প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে। যাকে বলে ফার্স্ট লুক। কিন্তু মহেশ মঞ্জরেকর (Mahesh Manjrekar) পরিচালিত নতুন ছবির ফার্স্ট লুকে দু’ফোটা চোনা পড়েছে। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, চারশো বছর আগের ছবির দৃশ্যে দেখা গিয়েছে ইলেকট্রিক বাল্ব। যার নিচ দিয়ে বুকের ছাতি ফুলিয়ে হেঁটে আসতে দেখা গিয়েছে শিবাজি রূপী অক্ষয়কে। গোটা ঘটনায় হেসে খুন তাঁরা। 

এমনিতে মহার্ঘ সিনেমা, শিবাজি বলে কথা। সম্ভবত সেই কারণেই ওইরকম বিরাট হাঁটা অক্ষয়ের। তাই বলে এতটাও সৃজন স্বাধীনতা নেওয়া যায়? এই প্রশ্ন তুলে মহেশের ছবি নিয়ে কটাক্ষ করছেন নেটিজেনরা। কতটা সৃজন স্বাধীনতা? ছবির প্রথম ঝলকে শিবাজীর সেটে দেখা গিয়েছে একটি ঝাড়বাতি। তাতেই জ্বলছিল প্রচুর ইলেকট্রিক বাল্ব। প্রশ্ন উঠেছে, ১৬৩০ সালে ইলেকট্রিক বাল্ব এল কোথা থেকে? যেখানে ফিলামেন্ট যুক্ত বৈদ্যুতিক বাল্বের জনক টমাস আলফা এডিশনের জন্ম ভারতের স্বাধীনতারও একশ বছর আগে। অর্থাৎ কিনা ১৮৪৭ সালে। এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট করেছেন, “আমাদের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জীবিত ছিলেন ১৬৩০ থেকে ১৬৮০ সাল অবধি। একশো বছর পর ১৭৮০ সালে আবিষ্কার হয়েছিল ইলেকট্রিক বাল্ব।” তাঁর সাফ কথা, এটা সৃজনের স্বাধীনতা নয়। বরং ছবি তৈরিতে ভয়ংকর গাফিলতি।” এতিহাসিক সিনেমার ক্ষেত্রে যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অসুস্থ ঐন্দ্রিলার পোষ্য তোজো, ওষুধ পাঠালেন সব্যসাচী]

একজন নয়, একাধিক নেটিজেন ‘শিবাজি’র এই ‘ভুল’ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন। এর জন্য অনেকেই খোদ হিরো অক্ষয়কে দায়ী করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ৪০ দিনের মধ্যে এত বড় ছবির কাজ শেষ করলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। একজন লেখেন, একের পর এক ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয়ের তাড়ায় এই কাণ্ড করে ফলেছেন অক্ষয়। যদিও ভুলের জন্য অভিনেতার মতোই দায়ী ছবির পরিচালক মহেশ মঞ্জেরকর এবং আর্ট ডিরেকটর।

প্রসঙ্গত, এদিন ইনস্টাগ্রামে শুটিংয়ের ভিডিও শেয়ার করে অক্ষয় কুমার লেখেন, ”জয় ভবানি, জয় শিবাজি।” অক্ষয় আরও লিখছিলেন, ”মারাঠি ছবি বেদত মরাঠে বীর দৌদলে সাত ছবির শুটিং শুরু করলাম। এই ছবিতে শিবাজি মহারাজের ভূমিকায় অভিনয় করাটা আমার কাছে সৌভাগ্য। আমি তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ও আর্শীবাদ নিয়ে শুটিং শুরু করলাম। ”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ