Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফেলুদা

৫০-এ পা ফেলুদার, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে প্রদর্শিত হবে তথ্যচিত্র

তথ্যচিত্রের নাম 'ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস অব রে’স ডিটেকটিভ'।

Documentry on Satyajit Ray's Feluda to hit screens
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 6, 2019 5:14 pm
  • Updated:June 6, 2019 5:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’আঙুলের ফাঁকে চারমিনার। তাতে ঘন ঘন টান দিচ্ছেন। শান দিচ্ছেন মগজাস্ত্র। ক্রিকেটও দিব্যি খেলতে পারেন। জানেন তাসের ম্যাজিক, প্রায় ১০০ রকম ইন্ডোর গেমসেও পটু। আবার একটু-আধটু হিপনোটিজমের গুণও আছে বইকি। দু’হাতে লিখতেও জানেন। এই বহুমুখী প্রতিভাবান বাঙালিদের প্রথম ‘সুপারম্যান’ হলেন প্রদোষ মিত্তির, থুড়ি প্রদোষ মিত্র ওরফে ফেলুদা। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দার তালিকা বেশ দীর্ঘ বই কিছু কম নয়। ব্যোমকেশ, কিরীটি, ফেলুদা। তা আপনার আস্তানা কোন তাঁবুতে মশাই? এই প্রশ্নটা বোধহয় সাহিত্যপ্রেমীদের ‘চায়ে পে চর্চা’-র চিরন্তন আলোচ্য বিষয়। পাল্লা যদিও ফেলুদার দিকেই ভারী। বইয়ের পাতা থেকে সে চরিত্র উঠে এসেছে রূপোলি পর্দায়। নয় নয় করে পঞ্চাশ বছর পার হয়ে গেল ফেলুদার। এবার এই কিংবদন্তী বাঙালি গোয়েন্দাকে নিয়েই মুক্তি পেল তথ্যচিত্র। নাম ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস অব রে’স ডিটেকটিভ’।

[আরও পড়ুন:  ‘নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছেন মমতা’, বেনজির তোপ অপর্ণার]

Advertisement

তথ্যচিত্রের নির্মাতা সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। আদতে বিজ্ঞাপনের ছবি তৈরি করাই তাঁর পেশা। অন্যদিকে, ফেলুদা নাকি আবার তাঁর শৈশব নেশা। আর এই ফেলুদা নেশায় ভর করেই তাঁকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত একটা ১ ঘণ্টা ৫৬ মিনিটের তথ্যচিত্র। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব ছিল কি? আর যদি বাস্তবে না-ই থাকে, তাহলে কোথা থেকে এল মাণিকবাবুর ফেলুদা ভাবনা? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে দেখতে হবে পরিচালক সাগ্নিকের তথ্যচিত্র ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস্ অব রে’স ডিটেকটিভ’। মাণিকবাবুর প্রিয় শুটিং স্পট বারাণসী থেকে রাজস্থান চষে ফেলেছেন সাগ্নিক এই তথ্যচিত্র বানাতে গিয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  ‘সড়ক ২’ ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত? মুখ খুললেন পূজা ভাট]

কাল বদলানোর সঙ্গে বদলেছে পর্দার ফেলুদাও। কখনও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী তো আবার দেখা গিয়েছে আবির চট্টোপাধ্যায়কেও। ‘বড়পর্দার ফেলুদা’দের ভাবনায় তা মাণিকবাবুর ফেলুদা কেমন? সেই তথ্যও মিলবে এই ডকুমেন্টরিতে। ‘ফেলুদারা’ নাকি এমন কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন, যা এর আগে কোথাও বলেননি। সব মিলিয়ে পরিচালক সত্যজিৎ নন। বরং তাঁকে লেখক বা অলঙ্করণ শিল্পী হিসেবে অনেক বেশি করে পাওয়া যাবে এই তথ্যচিত্রে, জানান সাগ্নিক। আগামী ৭ জুন এই তথ্যচিত্র দেখানো হবে নন্দন এবং প্রিয়া সিনেমা হলে। আদুরে শৈশবের চিলেকোঠা থেকে শীতের পড়ন্ত বেলার সঙ্গী ‘ফেলুদা সমগ্র’ উপভোগ বাঙালির খুব চেনা স্মৃতি। ফেলুদা বাঙালির আবেগই বটে! কাল্পনিক এই গোয়েন্দা চরিত্রকে নিয়ে তথ্যচিত্র দেখতে যে মন্দ লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ