Advertisement
Advertisement
জোয়াকিন ফিনিক্স

‘বৃদ্ধ কারাবাসীদের মুক্তি দিন’, করোনা পরিস্থিতিতে আরজি অস্কারজয়ী অভিনেতা জোয়াকিনের

নিউ ইয়র্ক প্রশাসনের কাছে আরজি জানালেন অস্কারজয়ী অভিনেতা।

Joaquin Phoenix urges New York Governor to release prisoners
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 18, 2020 10:54 am
  • Updated:April 18, 2020 10:54 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ ভাইরাসের থাবার কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মার্কিন মুলুক। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই ছলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে এককথায় নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে কারাবন্দিদের মুক্ত করার আরজি জানালেন অস্কারজয়ী অভিনেতা জোয়াকিন জোয়াকিন ফিনিক্স।

সম্প্রতি তিনি নিউ ইয়র্ক প্রশাসনের কাছে আরজি জানিয়েছেন, এই মহামারী পরিস্থিতিতে আপাতত জেলবন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্যে। নিদেনপক্ষে যাঁদের বয়স হয়েছে, তাঁদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও বলেছেন এই হলিউড অভিনেতা। কেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসনের কাছে তিনি এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে কারাবাসীদের মুক্ত করার আরজি জানিয়েছেন, সে প্রশ্নের উত্তর নিজেই টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছেন অভিনেতা।

Advertisement

“গভর্নর আন্দ্রেঁ কুমোর কাছে আরজি জানাচ্ছি, এই মহামারী পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্কের কারাবাসীদের নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্যে। অগণিত মানুষের জীবন নির্ভর করছে তাঁর এই সিদ্ধান্তের উপর। অন্তত COVID-19 সংক্রামিত হয়ে কারাগারের অন্দরে কারও মৃত্যুই কাম্য নয়! নিউ ইয়র্কের সংবিধান সংশ্লিষ্ট দেশের রাজ্যপালকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে যে তিনি অনায়াসে কোনও কারাবাসীকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অর্থাৎ গভর্নর কুমো যদি চান, তাহলে তিনি অনায়াসেই কোনও বন্দির শাস্তি মুকুব করতে পারেন কিংবা সেই শাস্তি কমিয়ে অন্তত এই সংকটকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কারাবাসীদের মুক্তি দিতে পারেন”, মন্তব্য ‘জোকার’ খ্যাত অভিনেতা জোয়াকিন ফিনিক্সের।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝেই প্রকাশ্যে ‘মিসেস সিরিয়াল কিলার’-এর ট্রেলার, খুনীর চরিত্রে জ্যাকলিন]

‘রিলিজিং এজিং পিপল ইন প্রিজন’ নামক এক ক্যাম্পেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি। সেই সুবাদেই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছে অন্তত বৃদ্ধ কারাবাসীদের এই সময়ে ছেড়ে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন অভিনেতা। পাশাপাশি জোয়াকিন এও বলেন যে, “কারাগারে যথাযথ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি নিষেধও মানা সম্ভব নয় সেখানে। এক্ষেত্রে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরতে পারে দ্রুত গতিতে। তাছাড়া কারাবাসীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হওয়া কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেই ঘোষণা করেছিলেন, করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সর্বোচ্চ শিখর পেরিয়ে এসেছে আমেরিকা। কিন্তু একথা বলার একদিন পরই আবার মৃত্যুর রেকর্ড গড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মৃত্যুর এই পরিসংখ্যানের পরে হোয়াইট হাউসকে এ নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করতে হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় আমেরিকা শীর্ষে। এর পরেই রয়েছে ইটালি (২২ হাজারের বেশি)।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের রূঢ় বাস্তব তুলে ধরল অম্বরীশের ছোট ছবি ‘গলদা চিংড়ি’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ