সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসান। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়ে তামিলনাড়ু সরকারও আগামী ৭ মে থেকে মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তে তামিলনাড়ু প্রশাসনের ‘মাথা নাড়া’কেই ভয়ংকর বিপদ বলে মনে করছেন কমল হাসান। ‘এই মুহূর্তের একটা ছোট্ট ভুলও বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে’ বলে মত কমল হাসানের।
কমল হাসানের কথায়, “কোয়েম্বেড়ু মার্কেট, যা কিনা তামিলনাড়ুতে তীব্র হারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সরকার তার মোকাবিলা অবধি করতে পারেনি, তারাই এখন আবার বাজারে মদের দোকান খুলতে চলেছে!” তামিলনাড়ু স্টেট মার্কেটিং কোর্পোরেশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কমল আরও বলেছেন, “এআইএডিএমকে সরকার বুঝতে পারছে না যে তাদের একটা ভুল সিদ্ধান্ত বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে!”
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর এক্সাইজ ডিউটি থেকে একটা মোটা অঙ্কের টাকা সরকারের কোষাগারে ঢোকে। আর লকাডাউন চলাকালীন দেশের সব প্রান্তে মদের দোকান বন্ধ থাকায় কোষাগারে সেই ধাক্কা যে কিছুটা হলেও পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশে মদের দোকান খোলার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্থাৎ ১ দিনেই কর্ণাটক সরকার আয় করেছে ৪৫ কোটি টাকা। অন্যান্য রাজ্যেও এই আয়ের হার এর থেকে খানিক কম-বেশি। দোকান খুলতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সুরাপ্রেমীরা ভীড় জমিয়েছেন। সচেতনতা অবলম্বন করে তো বটেই, বরং চড়া দামে মদ কিনে বাড়ি ফিরছেন। আর পাঁচটা রাজ্যের মতো বাংলাতেও এর অন্যথা হয়নি। বেলা বাড়তেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মদ কিনতে লোকের জমায়েতের ছবি-ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অতঃপর, তামিলনাড়ু সরকারও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সায় দিয়ে ৭ মে থেকে খুলছে মদের দোকান। আর সেই সিদ্ধান্তকেই ভয়ংকর বলে মনে করছেন মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের নেতা কমল হাসান।
[আরও পড়ুন: ট্রেলারে রহস্য-রোমাঞ্চের ছোঁয়া, রূঢ় বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চলেছে অনুষ্কার ‘পাতাল লোক’]
লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই সুরাপ্রেমীদের মনে সুখ নেই। বাকি সমস্ত কিছুর সঙ্গে তালা পড়েছিল মদের দোকানেও। লকডাউনের মেয়াদ যত বেড়েছে ততই উর্ধ্বমুখী হয়েছে সুরার দাম। ফলে তেষ্টায় গলা ফাটলেও কষ্ট বুকে চেপেই ঘুমিয়েছেন তাঁরা। তবে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই সুরাপ্রেমীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা দেখে অনেকেই বলছেন, কনটেনমেন্ট জোন বাদে প্রায় সর্বত্রই শর্তসাপেক্ষে খুলতে পারে মদের দোকান। তবে সবটাই রাজ্যের অনুমতির উপর নির্ভর করছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রেড জোনে থাকা দিল্লি-সহ একাধিক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। স্ট্যান্ড অ্যালোন দোকানও খোলার ছাড়পত্র রয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, কনটেইনমেন্ট জোন বাদে সমস্ত স্ট্যান্ড অ্যালোন ও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত দোকান খোলা যেতে পারে। তামিলনাড়ু সরকারও সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোয় ক্ষুব্ধ কমল হাসান।
கோயம்பேடை காப்பாற்ற இயலாமல் தொற்று எண்ணிக்கையை அதிகப் படுத்திய அரசு, இப்பொழுது டாஸ்மாக்கை திறக்குமாம்.
அரசின் ஒவ்வொரு தவறும் உயிர்களை பலி வாங்குவது புரியவில்லையா தலைமைக்கு.— Kamal Haasan (@ikamalhaasan) May 5, 2020