সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৫ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসছিল বলিউড পরিচালক তথা অভিনেতা মহেশ মঞ্জরেকরের কাছে। ফোনে অপর প্রান্তের ব্যক্তির দাবি সে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন আবু সালেমের গ্যাংয়ের সদস্য। ক্রমাগত হুমকি ফোনে বিরক্ত হয়ে শেষমেশ মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মহেশ মঞ্জরেকর (Mahesh Manjrekar)। শুক্রবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার খেড় অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করল মুম্বই পুলিশ। জেরার মুখে তার স্বীকারোক্তি, “ইউটিউবে আবু সালেমের (Abu Salem) ভিডিও দেখেই মহেশের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ছক কষা হয়েছিল।”
অভিযুক্তের নাম মিলিন্দ তুলশংকর। পেশায় চা বিক্রেতা। নিজেকে কুখ্যাত ডন আবু সালেমের শাগরেদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে মহেশের কাছ থেকে ৩৫ কোটি টাকা আদায় করার ধান্দায় ছিল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এমনকী, টাকা না দিলে বড়সড় ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছিল।
‘বাস্তব: দ্য রিয়ালিটি’, ‘অস্তিত্ত্ব’ এবং ‘বিরুদ্ধ’-এর মতো একাধিক খ্যাতনামা বলিউড ছবির পরিচালক মহেশ মঞ্জরেকর বুধবার মুম্বইয়ের দাদর স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি গত কয়েকদিন ধরেই তাঁকে মোবাইলে হুমকি মেসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছে এবং ৩৫ কোটি টাকা চাইছে। ওই ব্যক্তি নিজেকে কুখ্যাত ডন আবু সালেমের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করেছে। এরপর তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি-এক্সটরশন বিভাগ। খতিয়ে দেখা হয় সেই ফোন নম্বর, যেখান থেকে পরিচালক-অভিনেতার কাছে হুমকি ফোন আসছিল। তার সূত্র ধরেই শুক্রবার খেড়ের শাখরোলি গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত তুলশংকরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশি জেরায় তুলশংকর জানিয়েছে, ধারাভিতে তার চায়ের দোকানটি লকডাউনের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রোজগার নেই। তাই গ্রামে ফিরে গিয়েছিল সে। এরপর ইউটিউবে আবু সালেমের ভিডিও দেখেই মহেশকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ছক কষে সে। ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার টিকিটে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মহেশ। সেই সূত্রেই তাঁর ফোন নম্বর নথিভুক্ত করেছিল একটি ওয়েবসাইট। সেখান থেকেই পরিচালকের ফোন নম্বর জোগাড় করে তুলশংকর। অভিযুক্তকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর অবধি পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.