সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি যা পারি তুমি তা পারো না। তুমি যা পারো আমি পারি না। কিন্তু আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করলে অনেক বড় কাজ করতে পারি। আমরা সকলেই বড় বড় কাজ করে উঠতে পারি না। কিন্তু আমরা ছোট ছোট কাজ অনেকখানি ভালবেসে করতে পারি।’ এমনটাই ছিল তাঁর ভাবনার পৃথিবী। এই দর্শনেই তিনি বদলে দিয়েছিলেন তাঁর চেনা পৃথিবীকে। তিনি মাদার টেরিজা। এই দেশ, এই বাংলা যাঁকে পেয়েছিল ভগবানের আশীর্বাদ হিসেবে। জন্মদিনে বিশ্বজননীকে অভূতপূর্ব প্রাসঙ্গিকতায় শ্রদ্ধা জানালেন শিল্পী মীর।
ক্যালেন্ডারের পাতা উলটে ঠিক যেদিন তাঁর জন্মদিন, গোটা দেশ তখন এক অভূতপূর্ব ডামাডোলের মধ্যে চলেছে। এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কুকীর্তির শাস্তি ঘোষণা হতেই প্রায় অন্ধকার নেমে এসেছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। এও সম্ভব! স্বাধীনতার এত বছর পরে, কোনও গণতান্ত্রিক দেশে ধর্ষককে বাঁচাতে এত উন্মাদনাও দেখা যায়? যায় যে ক’দিন ধরেই তা টের পাচ্ছে দেশবাসী। ঠিক এই ডামাডোলের মধ্যেই মাদারের জন্মদিন যেন আমাদের সামনে এক আয়না তুলে ধরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে সে আরশিনগরের কথাই উল্লেখ করেছেন মীর। এই ধুঁকতে থাকা গণতান্ত্রিকতায়, স্বঘোষিত ধর্মগুরুর পিঠ বাঁচাতে যখন বহু মানুষ নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেছেন, তখন আমাদের ফিরে তাকানো উচিত সেই মায়ের দিকে, যাঁকে বোধহয় পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। মানবতা ও ভালবাসা দিয়ে গড়া পৃথিবীর হদিশ দিয়েছিলেন তিনি। আজ মীরের চোখ সেই সময়, যে সময়টা এই সেদিনও বাস্তব ছিল। যে সময়টা এমন অকারণ ডামাডোলে আকীর্ণ নয়। মাদারের জন্মদিনে আজ গোটা দেশ তথা বিশ্ব জুড়েই শ্রদ্ধার্ঘের ডালি জমা হচ্ছে। তবে এ শুধু জন্মদিন নয়, স্রেফ একটা দিনও নয়। বরং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এক আত্ম সমালোচনারও মুহূর্তও বটে। মীরের এই বার্তাই মিশে আছে তাঁর পোস্টে। যা মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে মাদার টেরিজাকে মা বলেই সম্বোধন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন দীর্ঘদিন তাঁর প্রতিবেশী হয়ে থাকার কথাও। এর আগে নানা বিষয়ে পোস্ট করেছেন মীর। তা নিয়ে নেটদুনিয়ায় সমালোচনা ও হেনস্তারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাদারকে মা বলে সম্বোধন করতে দ্বিধা করেননি তিনি। যে ভালবাসার পৃথিবীর খোঁজ দিয়েছিলেন মাদার, সে ভালবাসার দুনিয়াকেই আজ আপন করে নিয়েছেন মীর।