সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৭৮ সালের ২৫ নভেম্বর, মুম্বইয়ের জন্ম নিয়েছিলেন নিরু ভেদা। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে নিরু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন গ্ল্যামারের জগতে নিজের নাম তৈরি করার। কিন্তু তাঁর স্বপ্নের কাছে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর পরিবার। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ তিনি বলিউডের অন্যতম চর্চিত চরিত্র। এবার তাঁর জীবনী উঠে আসবে জাভেদ আখতারের কলমে। আজ যিনি পরিচিত রাখি সাওয়ান্ত নামে (Rakhi Sawant)। যাঁর জীবনী লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার। এবং শোনা গিয়েছে, সেই বায়োপিক ফারহান আখতার পরিচালনাও করতে পারেন।
View this post on Instagram
নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত একটি ছবি শেয়ার করে ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার (Javed Akhtar) জানিয়েছেন, ” আজ থেকে চার-পাঁচ বছর আগে রাকি তাঁর জীবনে যেমন যুদ্ধ করেছে আমিও তেমন যুদ্ধ করেছিলাম। রাখি আমাকে তাঁর ছোটবেলার কথাও জানিয়েছিল। আর সেই সময়ে আমি তাঁকে বলেছিলাম, এক সময়ে তোমার জীবনকে কেন্দ্র করে আমি একটা স্ক্রিপ্ট লিখব।”
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় আহত ‘মন্টু পাইলট’ সৌরভ দাস, কেমন আছেন অভিনেতা?]
কিছুদিন আগেই ‘বিগ বস ১৪’-র (Bigg Boss) ঘর থেকে ফিরেছেন ড্রামা কুইন রাখি। ১৪ লাখ টাকা নিয়ে প্রতিযোগিতার দৌড় থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি। তার কিছুদিন পরেই জানা যায়, রাখির মা ক্যানসারে আক্রান্ত। কেমোথেরাপি চলছে জানিয়ে মায়ের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। অনেক বলিউড তারকাও রাখির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, ছোটবেলা থেকেই রাখি তাঁর জীবনে অনেক লড়াই করেছেন। নানা সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেছিলেন রাখি। তিনি জানিয়েছিলেন, পরিবারের পেট চালাতে ১০ বছর বয়সে টিনা আম্বানির বিয়েতে ক্যাটারারের কাজ করেছিলেন। ১১ বছর বয়সে এক নাচের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যার শাস্তি হিসাবে কেটে দেওয়া হয়েছিল সুন্দর লম্বা চুল। আরও একটু বড় হতেই রূপোলি পর্দায় কাজের জন্য বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় করিয়েছিলেন কসমেটিক সার্জারিও।
View this post on Instagram
[আরও পড়ুন: রবিবার মোদির ব্রিগেডে থাকছেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার! জল্পনা তুঙ্গে]
১৯৯৭ সালে ‘অগ্নিচক্র’ সিনেমায় প্রথম কাজ করেন রাখি। কিন্তু সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। অবশেষে ২০০৩ সালে আইটেম নাম্বার ‘মহব্বত হ্যায় মিরচি’ গান তাঁকে রাতারাতি খ্যাতির শিখরে নিয়ে যায়। তাঁকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সেই সব কিছুই থাকবে রাখির বায়োপিকে। সেই গল্প নিয়ে সিনেমা হলে রাখির চরিত্রে তিনি নিজে অভিনয় করবেন, না অন্য কেউ তা জানতে আরও বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের।