সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহ-অভিনেতা তথা দক্ষিণী রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতার হেনস্তার শিকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে এই অভিযোগ তুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজয়লক্ষ্মী। ভিডিও দেখেই বন্ধুরা তড়িঘড়ি তাঁর কাছে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন। আপাতত চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভরতি অভিনেত্রী। রক্তচাপ কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। ফলে এখনও কিছুটা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
ভিডিওতে তামিলনাডুর দুটি রাজনৈতিক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিজয়লক্ষ্মী। কাটচি এবং পানাংকাট্টু। কাটচি দলের নেতা সিমন নামে এক অভিনেতা তাঁরই সহকর্মী। বিজয়লক্ষ্মীর অভিযোগ, সিমন এবং তাঁর দলবল নাকি প্রায়শয়ই তাঁকে উত্যক্ত করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও হেনস্তাপর্ব চলছে।
[আরও পড়ুন: করোনার কোপে নেই কাজ, পেটের দায়ে সবজি বিক্রি করছেন অক্ষয়ের সহ-অভিনেতা]
রবিবার ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী বলেছেন, ”আমি প্রভাকরণের পিল্লাই কমিউনিটি থেকে এসেছি। তাই আমার উপর সিমন এত অত্যাচার করছে। একজন মেয়ে হিসেবে সর্বশক্তি দিয়ে তা রোখার চেষ্টা করেছি সর্বদা। কিন্তু এখন এই চাপ আর সহ্য করতে পারছি না।” এছাড়া তিনি আরেক রাজনৈতিক দল পানাংকাট্টুর নেতা হরি নাদারের বিরুদ্ধেও হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। ভিডিওতে বিজয়লক্ষ্মীর আরও আবেদন, ”আমার অনুরাগীদের বলছি, সিমনকে ছাড়বেন না। আমার মৃত্যু যেন ওদের সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।”
[আরও পড়ুন: ‘বলিউড থেকে অস্কার পাওয়া মানে মৃত্যুকে চুম্বন করা’, রহমানকে বললেন পরিচালক শেখর কাপুর]
রবিবার পোস্ট করা ভিডিওতেই বিজয়লক্ষ্মী জানিয়েছেন যে তিনি রক্তচাপের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তাঁর বন্ধুরা তৎপর হয়ে ওঠেন। ছুটে যান অভিনেত্রীর বাড়িতে। এরপর অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। জানা গিয়েছে, তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে বিজয়লক্ষ্মীর জনপ্রিয়তা কম নয়। তাই নানাদিক বিবেচনা করে, বিতর্ক এড়াতে পরে বিজয়লক্ষ্মীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে ওই ভিডিও মুছে দেওয়া হয়েছে। অভিনেতা সিমনের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাতে ক্ষোভ বাড়ছে তাঁর ঘনিষ্টজনদের মধ্যে।