সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৫ বছর বাদে নতুন নজির তৈরি করল নোবেল কমিটি। গতবার সাহিত্যের জন্য কাউকে নোবেল পুরস্কার দেয়নি তারা। যৌন নিগ্রহ, সম্ভাব্য নোবেল জয়ীর নাম ফাঁস ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগের জেরে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এবার তাই একসঙ্গে দু’বছরের পুরস্কার দেওয়া হল। চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পর বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হল। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের ২০১৯ সালের নোবেল পাচ্ছেন অস্ট্রিয়ার সাহিত্যিক পিটার হান্ডকে। আর ২০১৮ সালের নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন পোলান্ডের লেখিকা ওলগা তোকারচুক। বৃহস্পতিবার সুইডিশ অ্যাকাডেমির সচিব ম্যাটস মালম স্টকহোলম থেকে তাঁদের নাম ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন:অপর্ণা সেনদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ, মোদিকে ফের চিঠি বিদ্বজনদের]
১৯৪২ সালে বার্লিনে জন্ম নেওয়া পিটার হান্ডকের জীবনটা প্রথম থেকেই লড়াইয়ের। ১৯৬৫ সালে পড়াশোনা ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন আভা গার্দ আন্দোলনে। এর পাশাপাশি সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার কাজও শুরু করেন। ১৯৭৮ সালে তাঁর নির্দেশনায় তৈরি ছবি ‘দ্য লেফট হ্যান্ডেড ওম্যান’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়। যুগোস্লাভিয়া যুদ্ধের সমালোচনা করে তাঁর লেখা সারা পৃথিবীতে সমালোচনার ঝড় তোলে। যুদ্ধের কারণ ও ফল বিষয়ে বারবার পশ্চিমী দুনিয়াকে বিঁধে এসেছেন পিটার। তাই এবছর তিনি পুরস্কার পাওয়ায় খুশি হয়েছেন যুদ্ধ বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন:‘মমতা ধর্মনিরপেক্ষ হলে নুসরত নয় কেন?’ মৌলবাদীদের পালটা প্রশ্ন তসলিমার]
অন্যদিকে ৫৭ বছর বয়েসি লেখিকা তোকারচুক সাহিত্যের জগতে পা রাখেন কবিতার হাত ধরে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সিটিজ অফ মিররস।’ ১৯৯৩ সালে তোকারচুকের প্রথম উপন্যাস ‘দ্য জার্নি অব দ্য বুক পিপল’ প্রকাশিত হয়। সতেরো শতকের প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাসের গল্প আবর্তিত হয়েছে একটি প্রেমিক দম্পতির গল্পকে নিয়ে। তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, তিনি এমন একজন লেখিকা যিনি কল্পনা দিয়েই দেশকালের সীমা ভেঙে দেন। তাই তাঁকে নোবেল দিয়ে এই পুরস্কারের মান রেখেছে পুরস্কার কমিটি।