৬ চৈত্র  ১৪২৯  মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘ওদের শরীরে হিটলারের রক্ত বইছে’, মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে সরব সুবোধ সরকার

Published by: Sandipta Bhanja |    Posted: May 15, 2019 5:37 pm|    Updated: May 15, 2019 5:37 pm

Subodh Sarkar condemns Vidyasagar's bust vandalization

সন্দীপ্তা ভঞ্জ: প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো বিদ্যাসাগর কলেজ মঙ্গলবার রাতে যে ঘটনার সাক্ষী থাকল, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করা কঠিন ছিল যে কোনও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের জন্য৷ কত ইতিহাস, কত স্মৃতি, কত সংগ্রামের সাক্ষী এই কলেজ৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই তা খবরের শিরোনামে। কোনও সুখ্যাতির জন্য নয়। বরং, এদিন কলেজ চত্বরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে সংস্কৃতি জগৎকে। মঙ্গলবার সন্ধেয় সেখানে অন্ধ আক্রোশে ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহ্যবাহী মূর্তি৷ যা ঘটেছে তাতে যে আপামর বাঙালির মাথা নত হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন ঘটনায় বিস্মিত আপামর বাঙালি থেকে বাংলার সংস্কৃতি জগৎ। কবি সুবোধ সরকারও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন:  “বঙ্গ সংস্কৃতির অহংকার ভূলুণ্ঠিত,” মত বিদ্বজনদের ]

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সুবোধ সরকার বলেন, “অত্যন্ত খারাপ কাজ। আমি গতকালের দিনটাকে একটা কালো দিন হিসেবে মনে করি। ভারতীয় রাজনীতিতে এটা একটা কালো দিন। যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙল তারা আসলে হিটলারের রক্ত। তাদের শরীরে এখনও হিটলারের রক্তই প্রবাহিত হচ্ছে। ঠিক যেমন ভাবে হিটলার লেখক তথা পৃথিবীর সমস্ত শিল্পীদের পুড়িয়ে মেরেছেন, কালকেও ঠিক একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি মিলেছে। তাই এই ঘটনাকেও আমি পরিষ্কারভাবে একটা হিটলারীয় কাজ বলেই মনে করছি। যা হয়েছে অর্থাৎ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কেউ ভাবতে পারেনি কোনও দিন।”

[আরও পড়ুন:  কাদের হাতে চূূর্ণ বিদ্যাসাগর মূর্তি? ভাইরাল ভিডিও-তে স্পষ্ট গেরুয়াধারীদের তাণ্ডব]

পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, “এর আগে যখন লেনিনের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করে কবিতা লিখেছিলাম। বিবেকানন্দের মূর্তিকে যখন কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল তখনও আমি প্রতিবাদ করেছি। আর আজকে যখন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হল আমি তারও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কালকে যদি রবীন্দ্রনাথের উপরও আঘাত হানা হয়, আমি তখনও আমি চুপ থাকব না। তীব্র ধিক্কার জানাব। আর বিদ্যাসাগর শুধু আমাদের বাংলার নয়, সারা ভারতের নবজাগরণের প্রতীক। তিনি ছিলেন বলে আমাদের দেশে নবজাগরণ সম্ভব হয়েছে। নাহলে, ভারতবর্ষ আরও দুশো বছর পিছিয়ে যেত। সুতরাং, বিদ্যাসাগরকে যাঁরা ভাবছেন যে তিনি শুধু বাংলার রূপকার, তাঁরা ভুল করবেন। তিনি আসলে ভারতবর্ষের এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। এই ঘটনার প্রতিবাদে যে কোনও প্রতিবাদী মিছিলে আমি রয়েছি। আমরা আমাদের মতো করে এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানাব।”

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে