Advertisement
Advertisement
Cinema

এ নৃশংসতা চোখে দেখা যায় না! মুক্তি পেতেই এই সিনেমাকে নিষিদ্ধ করেছিল বহু দেশ

পর্দায় হিংস্র যৌন আনন্দ দেখানোর অভিযোগ ওঠে পরিচালকের বিরুদ্ধে।

Ichi the Killer the ultra-violence of mainstream film | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 15, 2021 7:26 pm
  • Updated:December 10, 2021 12:24 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি সিনেমা কুখ্যাত, সেই সিনেমাই বহুল প্রশংসিত। মুক্তির পরেই যে সিনেমা একাধিক দেশে নিষিদ্ধ, সেই সিনেমাই পৃথিবীর সব ডাকসাইটে চলচ্চিত্র উৎসবে সসম্মানে প্রদর্শিত। ২০০১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত জাপানি পরিচালক তাকাশি মিকে (Takashi Miike) পরিচালিত ‘ইচি দ্য কিলার’ (Ichi the Killer) আক্ষরিক অর্থেই অতুলনীয়। বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের আস্ত ব্যতিক্রম। সে সুখ্যাতি পেয়েছে যে কাজের জন্য, একই কারণেই চরম দুর্নাম জুটেছে তার কপালে! আসলে সিনেমা ইতিহাসের অন্যতম হিংস্র চলচ্চিত্রের তকমা পেয়েছে তাকাশির ছবি।

আজকাল ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজগুলির নির্দিষ্ট পর্ব শুরু হওয়ার আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই পর্বে ভায়োলেন্স বা হিংস্রতা, ফাউল ল্যাঙ্গোয়েজ অর্থাৎ ইতর শব্দ, মদ্যপান ইত্যাদি দেখানো হয়েছে কিনা। সেন্সরহীন ওয়েব সিরিজের যুগে খানিকটা প্রাপ্তবয়স্কও হয়েছে বটে ভারতীয় দর্শক। সেই কারণেই হিংস্রতা, গালাগাল, যৌনতা ইত্যাদি থাকা সত্বেও মির্জাপুরের দু’টি সিজন মুক্তি পেয়েছে এবং দর্শকের মন জিতেছে। এই মির্জাপুরের নগ্নতা তথা হিংস্রতা ‘ইচি দ্য কিলার’-এর কাছে শিশু। মেনস্ট্রিম ভারতীয় সিনেমায় অনুরাগ কাশ্যপের (Anurag Kashyap) কিছু ছবিতে ভায়োলেন্স দেখেছি আমরা। উদাহরণ হিসেবে ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’-এর দুটি পর্ব কিংবা রামন রাঘবের কথা তোলা যায়। অনুরাগের এই চেষ্টাও ধোপে টেকে না তাকাশি মিকের ছবির কাছে।

Advertisement

Ichi the Killer the ultra-violence of mainstream film

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অভিভাবকহীন’ টলিউড, সৌমিত্রর স্মৃতিচারণায় প্রসেনজিৎ, আবির, শাশ্বতরা]

গভীরে গিয়ে ভাবলে ‘ইচি দ্য কিলার’-এর মূল ভাবনাই হল সভ্য মানুষের পোশাকের আড়ালে থাকা আদিম হিংস্রতা। রাখঢাক না করে নগ্ন ভাষায় গা রিনরিন করা সেই রোমশ অন্ধকার জগতের কাহিনিই বলতে চেয়েছিলেন পরিচালক। ছবির চরিত্রেরা তাই খুনি, গুপ্তচর, গণিকা, মাদক পাচারকারী, গ্যাংস্টার। যারা ব্রেড-বাটারের জন্য সবকিছু করতে পারে। প্রতিপক্ষের কাউকে ধরতে পারলে তার উপর যে পৈশাচিক অত্যাচার চালায়, তা ভদ্র ভাষায় লেখাও কঠিন। এমন হিংস্রতা যা চোখে দেখা যায় না। যেমন ধরুন ছবিটির শুরুর দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় চরিত্র হস্তমৈথুন করছে, এভাবেই সে নজর রাখছে একজন গণিকার উপর। এছাড়াও শত্রুর শরীরে গরম তেল ঢেলে জিজ্ঞাসাবাদ, সরু তার দিয়ে নিজেই নিজের জিভ কেটে ফেলার মতো ভয়ঙ্কর সব দৃশ্য রয়েছে ‘ইচি দ্য কিলার’ ছবিতে।

দেশ হিসেবে জাপান সিনেমার সেন্সারশিপের বিষয়ে ভীষণই উদার। সেই কারণেই সেখানে ‘ইচি দ্য কিলার’ মুক্তি পেয়েছিল। এবং শিক্ষিত দর্শক তা দেখেওছিল। যদিও একই ছবিকে মালয়েশিয়া, নরওয়ে ও জার্মান সরকার ব্যান করেছিল। অন্যদিকে তাকাশি মিকের ছবিটি হংকংয়ে মুক্তি পেয়েছিল বটে, তবে বিপুল পরিমাণ কাটছাঁটের পরে। ছবির যে সব জায়গায় “হিংস্র যৌন আনন্দের” দৃশ্য রয়েছে সেগুলিকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডেও।

Ichi the Killer the ultra-violence of mainstream film

[আরও পড়ুন: মাথায় নেই চুল, মুখে কাঁচা-পাকা দাড়ি, এ কী চেহারা প্রসেনজিতের!]

এই সিনেমা সম্পর্কেই ওয়ার্ল্ড সিনেমার সমালোচকদের মন্তব্য, এমন ছবি বানানোর কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না হলিউড বা পশ্চিমের দেশগুলো। লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পাওয়ার পর এমপায়ার ম্যাগাজিন তাকাশি মিকে পরিচালিত ‘ইচি দ্য কিলার’ সম্পর্কে লিখেছিল, “এ মাস্টারপিস অফ এক্সট্রিম সিনেমা”।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ