Advertisement
Advertisement
সুপার ৩০

‘জীবন ছোট হচ্ছে’, ‘সুপার ৩০’ নিয়ে আবেগপ্রবণ নেপথ্য নায়ক আনন্দ কুমার

‘সুপার ৩০’-তে হৃতিকই অভিনয় করুক, চেয়েছিলেন আনন্দ।

Want to see Super 30 before I die, says Anand Kumar
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 11, 2019 4:52 pm
  • Updated:July 11, 2019 5:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  “বাবুমশাই ইয়ে জিন্দেগি বড়ি হোনি চাহিয়ে, লম্বি নেহি…” রাজেশ খান্নার এই সংলাপ আজও সিনেপ্রেমীদের মুখস্ত। আর ‘আনন্দ’ ছবির এই সংলাপটি কোথায় গিয়ে যেন আনন্দ কুমারের জীবনের সঙ্গে এক্কেবারে মিলে গিয়েছে। তাই বেঁচে থাকতেই নিজের বায়োপিক দেখার সাধ মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ‘সুপার ৩০’-র নেপথ্য নায়ক৷ যাঁর জীবন সংগ্রামের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি, সেই মানুষটি। তিনি বিহারের প্রখ্যাত শিক্ষক আনন্দ কুমার

[আরও পড়ুন:  সামনেই মুক্তি ‘সুপার ৩০’-র, তার আগেই প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হৃতিক]

Advertisement

অ্যাকিউস্টিক নিউরোমায় আক্রান্ত আনন্দ কুমার। ২০১৪ সালেই ধরা পড়ে তাঁর ক্যানসার। তখন থেকেই ৬ মাস অন্তর নিয়মিত চিকিৎসা করাতে হয় তাঁকে। অপারেশন হলেও পুরোপুরি কোনওদিনই সুস্থ হবেন না আনন্দ। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, তাঁর হাতে সময়ও কম। যতদিন চিকিৎসার উপর ঠিক থাকা যায়, ততদিনই৷

Advertisement

অতঃপর, পরিচালক-প্রযোজক বিকাশ বহেলের কাছ থেকে বায়োপিকের প্রস্তাব পেয়ে আর ফেরাতে পারেননি। রুপোলি পর্দায় নিজের জীবনী দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন আনন্দ। অবশেষে অবসান ঘটল অপেক্ষার। বুধবারই মুম্বই এবং কলকাতায় ‘সুপার ৩০’-র বিশেষ স্ক্রিনিং ছিল। যেই ছবি মু্ক্তি পাচ্ছে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার। তবে, পরিচালকের বিরুদ্ধে #MeToo অভিযোগ থাকায় মুক্তির আগে বেশ ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে পড়তে হয়েছে এই ছবিকে। তাই অবশেষে যখন প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি, বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন আনন্দ কুমার। কারণ তাঁর কথায়, “জীবন আর মৃত্যু একেবারেই অনিশ্চিত! বেঁচে থাকতেই নিজের বায়োপিক দেখে যেতে চাইছিলাম।”

বায়োপিক মুক্তির তাড়াটা নির্মাতাদের থেকে আনন্দ কুমারেরই যেন বেশি ছিল। ছবিটা কীভাবে শুট হবে, কোথায় হবে এবং তাঁর জীবনের কোন পর্যায়ের কোন ঘটনাগুলি থাকবে চিত্রনাট্যে, তা নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা হয়েছে আনন্দের। চেয়েছিলেন সুস্থ থাকতে থাকতেই পর্দায় নিজের জীবনযুদ্ধ দেখতে। আর তাঁর চরিত্রাভিনেতা হৃতিক রোশনই হন, সেটাও চেয়েছিলেন আনন্দ।

সালটা ২০১৪। প্রথমে ডান দিকের কানে কম শোনা শুরু করেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় কানের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে তখনই ধরা পড়ে টিউমার হয়েছে তাঁর। দেশের বড় বড় হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। ডাক্তাররা বলেন, আনন্দের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম। অস্ত্রোপচার করা হলেও তাঁর মুখের আকার, চোখের দৃষ্টির উপর প্রভাব পড়তে পারে। বিহারের এই প্রখ্যাত চিকিৎসককে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, এত কম বয়সে বায়োপিকের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন, পথ চলা তো তাঁর এখনও অনেকটা বাকি? আনন্দের উত্তর, “সকলে ভাবছে আমি এখনও অনেক দিন বাঁচব। কিন্তু বাস্তবে কী হবে, তা কেউ জানে না।“

[আরও পড়ুন:  বাসের সামনে পাঁপড় বিক্রি করছেন হৃতিক, ভাইরাল ‘সুপার ৩০’ ছবির দৃশ্য]

বিগত ৯ বছর ধরেই বহু প্রযোজক এবং পরিচালক তাঁর কাছে বায়োপিকের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু রাজি হননি। অবশেষে, হৃতিক এবং বিকাশ বহেলের গল্পে মজেই সায় দিয়েছেন বায়োপিকের জন্য। অবশেষে বহু বিতর্ক, জল্পনার পর ১২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে বিকাশ বহেল পরিচালিত এবং হৃতিক অভিনীত ‘সুপার ৩০’ ।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ