অরূপ বসাক: ডাল চাষে কৃষকদের উৎসাহ বাড়াতে ও ডালের উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মেটেলি ব্লক কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের টিআরএফএ প্রকল্পের মাধ্যমে ডাল চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষক উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। শুধু প্রশিক্ষণ নয়, এজন্য কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে কৃষকদের ডাল বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা এই ডাল চাষ করে যাতে করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন তার জন্যই এই উদ্যোগ।
[অনুসেচের মাধ্যমে এবার ফসল ফলবে বাঁকুড়ার রুক্ষ মাটিতে]
ডাল চাষের মাটিতে অম্লত্বর ভাগ কম থাকে। এই চাষে গোবর সার অত্যন্ত উপকারি। উর্বর পলি দোঁয়াশ মাটি ডাল চাষের উপযুক্ত। ডাল চাষের মাটির উর্বরতা বাড়ায়। মেটেলি ব্লকের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন দক্ষিণ ধুপঝোরা ভগীরথ পাড়ার উপেন রায় ও কাঞ্চন রায় এবারেই প্রথম কৃষি বিভাগের উৎসাহে ডাল চাষ করেছেন। ডাল গাছের চেহারাও বেশ ভালই হয়েছে। একজন কৃষক ন্যূনতম দু’বিঘা করে জমিতে ডাল চাষ করেছেন। কৃষকরা জানান, ‘‘আগে এই জমিতে আলু চাষের পর সেই জমি ফাঁকাই পরে থাকত। কোনও কিছু চাষ করা হত না। মেটেলি ব্লক কৃষি বিভাগ থেকে ওই পতিত জমিতে ডাল চাষের উৎসাহ দেওয়া হয়।’’ বীজ ও সার দেওয়া হয় কৃষি বিভাগ থেকেই। ডালের চাষ ভালো হওয়ায় স্বভাবতই খুশি কৃষকরা।
[বাংলার কচুর লতিতে মজেছে ইউরোপ, চাহিদা মিটিয়ে চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা]
মেটেলি ব্লক কৃষি বিভাগ সূত্রে খবর, বাজারে সারা বছর ডালের চাহিদা থাকে। বাজারে কেজি প্রতি ডাল বিক্রি হয় ১০০-১২০ টাকা দরে। ফলন ভালো হলে দুই বিঘা জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকা আয় হতে পারে কৃষকের। জমি খালি না রেখে কৃষকরা যাতে ডাল চাষ করেন ও এই চাষে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ।