BREAKING NEWS

১২ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বাড়িতে কৃত্রিম মরুভূমি বানিয়ে দুম্বা চাষ, আয়ের নতুন দিশা দেখালেন মালদহের মিরাজুল

Published by: Tiyasha Sarkar |    Posted: June 23, 2022 3:23 pm|    Updated: June 23, 2022 3:37 pm

Farmers Can Earn Lakhs by rearing dumba in West Bengal, Know how | Sangbad Pratidin

বাবুল হক, মালদহ: আছে পাহাড়, সমতল আর সমুদ্র। কিন্তু এই বাংলায় কোনও মরুভূমি নেই। তবু সৌদি আরবের (Saudi Arab) দুম্বা পালন এই রাজ্যে? হ্যাঁ, এটা সত্যি। বাড়িতেই ছোট আকারের কৃত্রিম মরুভূমি বানিয়ে দুম্বা পুষছেন মালদহের (Maldah) মিরাজুল শেখ। এতে বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যও অর্জন করেছেন তিনি। মালদহ তো বটেই, বাড়িতে দুম্বা লালন-পালন করে এখন গোটা বাংলাকে দিশা দেখাচ্ছেন মিরাজুল।

জানা গিয়েছে, কোরবানি ইদ এলেই মিরাজুল শেখের খামারমুখো হন ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু ধনী ব্যক্তি। কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যান আরবীয় জাতের দুম্বা। মিরাজুলের কথায়, “আমি কোরবানির সময় দেখতাম, এক-একটি দুম্বার দাম দু-তিন লক্ষ টাকা। কেউ আবার চার-পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েও কোরবানির জন্য দুম্বা কিনছেন। আমি রাজস্থান মরুভূমি এলাকায় গিয়ে দেখলাম, সেখানে বাড়িতেই দুম্বা লালনপালন করা হচ্ছে। ওঁদের কাছ থেকে দুম্বা কিনে এনে মালদহ-মুর্শিদাবাদে বিক্রি করতাম। এখন লালনপালনের পদ্ধতি জেনে এসে বাড়িতেই খামার তৈরি করে চাষ শুরু করেছি। এতে লাভ ভালই হচ্ছে। বলতেই পারি, দুম্বা পুষলে এক বছরেই লাখপতি হতে পারবেন।”

[আরও পড়ুন: লেভি কম দিতে আয় গোপন করছেন সিপিএম সদস্যরা, রিপোর্ট পেয়ে কঠোর আলিমুদ্দিন]

বাংলার আওহাওয়াও ধীরে ধীরে দুম্বা পালনের অনুকূল হয়ে উঠছে, দাবি মিরাজুলের। তাঁর পরামর্শ, “এই রাজ্যেও দুম্বা পালনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজস্থানের মতো মরুভূমি এলাকা থেকে একটু প্রশিক্ষণ নিয়ে আসতে হবে।” কী এই দুম্বা? চর্বিযুক্ত মোটা লেজওয়ালা ভেড়ার মতো দেখতে এক ধরনের প্রাণী। তবে এর পিছনের অংশ ভারী। ভেড়ার মতোই দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। চর্বিযুক্ত মাংস উৎপাদনে ছাগল-ভেড়ার চেয়ে বেশি কার্যকরী। কোরবানির ইদের সময় দুম্বার চাহিদা খুব বেড়ে যায়। অনেকেই কোরবানির জন্য সুদূর তুরস্ক কিংবা সৌদি আরব থেকেও দুম্বা নিয়ে আসেন। রাজস্থান থেকেও দুম্বা আনা হয় কলকাতায়। দুম্বার প্রচুর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে এই রাজ্যে। মালদহের কালিয়াচক থানার ধুলাউড়ির বাসিন্দা মিরাজুল শেখ বাংলার মানুষকে সেই দিশা দেখাচ্ছেন।

সামনেই কোরবানির ইদ। তার আগেই মিরাজুলের ধুলাউড়ির বাড়িতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় জমছে। খাসি বা ছাগল নয়, কোরবানির জন্য ইদানীংকালে বাড়ছে দুম্বার চাহিদাও। আগে রাজস্থান, দিল্লি কিংবা আরব থেকেও দুম্বা এনে ইদের বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ধুলাউড়ির চরকতলার বাসিন্দা মিরাজুল শেখ। বছর দু’য়েক আগে নিজেই দুম্বা-চাষ শুরু করছেন। রোজ এই দুম্বাদের ঘাস, কাঁঠালপাতা ও খড় খাওয়ানো হয়। মাত্র ৬-৭ মাস বয়সেই বড় হয়ে ওঠে এই দুম্বা। মিরাজুল জানান, বাড়িতে দুম্বা পুষতে হলে খামারে টেবিল ফ্যানের হাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলায় দুম্বারা বাড়ি বা খামার থেকে বের হয় না। সন্ধ্যার পর এবং খুব ভোরে ওদের ঘুরতে নিয়ে যেতে হয়। একেকটি দুম্বা এক থেকে দেড় কুইন্টাল ওজনের হয়ে থাকে। এই কোরবানিতে একেকটি দুম্বা দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকায় বেচবেন মিরাজুল।

[আরও পড়ুন: কৃষিজমির পরিচর্যায় রাসায়নিক সার নয়, রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া সামগ্রীতেই লুকিয়ে পুষ্টি]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে