দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বোরো ধান কাটার সময় চলে এসেছে। কিন্তু লকডাউনের ফলে মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। যার ফলে চিন্তাভাবনায় রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না কৃষকরা। তার উপর আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো কালবৈশাখীর তাণ্ডব। বুধবার ভোর রাতের মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে তছনছ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে, তো আবার কোথাও বড় বড় গাছ ভেঙে গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধান এবং সবজি চাষে। সব মিলিয়ে মাথায় হাত কৃষকদের।
বুধবার ভোর তিনটে নাগাদ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। ঝড়ের গতিবেগ বেশি থাকায় ভাঙড়, ক্যানিং, গোসাবা,বাসন্তী, কুলতলি, জয়নগর ও সোনারপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। ভাঙড়ের সাতুলিয়াতে খালপাড়ে একের পর এক ঘরের অ্যাসবেস্টাসের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে চলে যায় মুহূর্তের মধ্যে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, ভোর চারটে নাগাদ হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। মিনিট দশেক স্থায়ী হয় এই ঝড়। আর তাতেই বাড়িঘর উড়ে চলে যায়।
[আরও পড়ুন: সামান্য বৃষ্টিতে জলের তলায় ধান জমি, ক্ষতির আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়ল কৃষকদের]
গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিশেষ করে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। এই ঝড়ের ফলে একদিকে যেমন বাড়িঘরের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্যদিকে তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠের ফসল। বোরো ধান এখন কাটার সময় চলে এসেছে। পাকা ধানে ঝড় ব্যাপক আঘাত হেনেছে। এমনিতেই চলছে লকডাউন। চারিদিকে খাদ্যশস্যের টানাটানি শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করতে শুরু করার কাজ শুরু করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।