সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থ দফা ভোটের দিনটি স্মরণীয় হয়ে রইল প্রায় এদেশের হাজার খানেক পাকিস্তানি শরণার্থীর জীবনে। প্রায় এক দশক পর ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচিতি পেলেন তাঁরা। সোমবার দেশের একাধিক জায়গায় আর পাঁচটা ভারতীয় নাগরিকের মতো ভোট দিলেন। ভোট দেওয়ার পর কেউ ধন্যবাদ দিলেন ভাগ্যকে। কেউ আবার আবেগাপ্লুত হয়ে ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন।
২০০১ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন রেওয়ারাম ভিল। বয়স ৯০। জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে ভোটাধিকার পেলেন তিনি। রেওয়ারাম জানিয়েছেন, তিনি থাকতেন পাকিস্তানের তান্ডো সুমরোয়। ২০০১ সালে ভারতে আসেন তিনি। পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন তিনি। কিন্তু নাগরিকত্ব পাননি। এবছর ১ জানুয়ারি তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পান। তারপর সোমবার, ১৮ বছর পর ভারতে প্রথম ভোট দিলেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: নেল রিমুভারে নিমেষে উধাও ভোটের কালি, কমিশনে অভিযোগ কংগ্রেস নেতার ]
রেওয়ারাম-সহ প্রায় এক হাজার জন পাকিস্তানি শরণার্থী প্রথমবার ভোট দিলেন এবছর লোকসভা নির্বাচনে। সোমবার রাজস্থানের ২৫টি আসনে হয় ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে যোধপুরে এই এক হাজার জন ভোট দেন। রেওয়ারামের ছেলে গোবর্ধন ভিল পাকিস্তানে নার্সিং ও হোমিওপ্যাথি পড়তেন। ২০০১ সালে তিনিও ভারতে চলে আসেন। এখন থাকেন যোধপুরের রাধা ভিল বস্তিতে। তিনি বলেছেন, “আমরা সেইসব ভাগ্যবানের মধ্যে পড়ি যাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে। এখনও প্রায় এক হাজার জন রয়েছে যাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়া জন্য অপেক্ষা করছেন।”
২০১৬ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবদের পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেয়। সরকারি সূত্রে খবর, এ বছর জানুয়ারি মাসে এক হাজার পাকিস্তানি শরণার্থীকে ভারতের নাগরিত্ব দেওয়া হয়। এখনও প্রায় ৩ হাজার ৯০টি আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে। সেই আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখবে যোধপুর জেলা প্রশাসন। তারপর ফের নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ শুরু হবে।
[ আরও পড়ুন: ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক, সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা ]