Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোটের কালি

নেল রিমুভারে নিমেষে উধাও ভোটের কালি, কমিশনে অভিযোগ কংগ্রেস নেতার

টুইটারে ছবি পোস্ট করে অভিযোগ সঞ্জয় ঝা, রিতু কাপুরের৷

Voter ink can be easily removed by nail remover,complain congress
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 29, 2019 5:21 pm
  • Updated:April 29, 2019 5:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আঙুলে কালি লাগিয়ে নেওয়া৷ এতেই প্রমাণ, আপনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷ এই কালি আঙুলে রয়ে যায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত৷ কিন্তু ধরুন ভোটের পর আঙুলে লাগানো কালি কিছুক্ষণ পরই উঠে গেল৷ তাহলে? আপনার ভোটদানের প্রমাণ কই? আপনি যে আরও একবার ভোট দিতে যাবেন না, তার নিশ্চয়তাই বা কোথায়?  

চতুর্থ দফা লোকসভা ভোটের পর আঙুলের কালি এভাবেই উঠে যাচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা৷ টুইটারে নিজের আঙুলে কালি লাগানো ছবি এবং পরবর্তী সময়ে কালি উঠে যাওয়া ছবি পোস্ট করেছেন৷ তাঁর কথায়, নেলপালিশ রিমুভারের সাহায্যে ভোট দেওয়ার কালি সহজেই উঠে যাচ্ছে৷ ছবি পোস্ট করেই সঞ্জয় ঝা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, ভোটদানের কোনও প্রমাণ না থাকায় একই ব্যক্তি আবারও ভোট দিতে যাবেন না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে ফের উঠছে প্রশ্ন৷

Advertisement

[আরও পড়ুন : দিল্লির রাসায়নিক কারখানায় আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন]

এবারের লোকসভায় ভোটের কালি তৈরির দায়িত্ব ছিল মাইসুরুর একটি সংস্থার উপর৷ তাদের দাবি ছিল, এই কালি সপ্তাহখানেক তো বটেই, দু’সপ্তাহ পরও উঠবে না৷ প্রথম দফা ভোটের পরই কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠছিল৷ তবে চতুর্থ দফার দিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ভোট দিয়ে ফেরার পর নেলপালিশ রিমুভার দিয়ে সহজেই কালি উঠে যাচ্ছে৷ কংগ্রেস মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি সকাল ৯টা ৫২ নাগাদ ভোট দিয়েছেন৷ কিন্তু বাড়ি ফেরার পর সকাল ১০টা ৩৮ নাগাদ তা উঠে গিয়েছে বলে ছবিতেই স্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছেন তিনি৷

Advertisement

[আরও পড়ুন : ক্ষমতা বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, জারি কড়া সতর্কতা]

একই অভিযোগ নয়ডার সাংবাদিক রিতু কাপুরের৷ তিনিও প্রমাণস্বরূপ টুইটারে নিজের ছবি পোস্ট করেছেন৷ আগের দফাগুলোতেও একইরকম অভিযোগ পেয়ে কমিশনও নড়েচড়ে বসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে৷ ডেপুটি কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমারের দাবি, ‘এই কালি সিএসআইআর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত৷ ১৯৫০ সাল থেকে এই কালিই ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ২৫টি দেশ এই কালি ব্যবহার করে৷ এমনটা হওয়া উচিৎ নয়৷’ এবার ২৬ লক্ষ কালির বোতল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ যার খরচ পড়ছে ৩৩ লক্ষ টাকা৷ কিন্তু তার গুণমান যথাযথ কিনা, এসব ঘটনা সেই প্রশ্নই উঠছে৷ 

#MeraVoteCongressko

Come on #Mumbai, come on #India, let’s move from darkness to sunshine. #AbHogaNYAY pic.twitter.com/a8vQQcxAee

— Sanjay Jha (@JhaSanjay) April 29, 2019

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ