মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: পাঁচদিনের মাথায় ফের ভূস্বর্গে খতম তিন হিজবুল জঙ্গি। পুলওয়ামার পর এবার সোপিয়ান। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোপিয়ান জেলার ভাচি এলাকায় হানা দেয় যৌথবাহিনী। দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ে তিন সন্ত্রাসবাদি খতম হয়। ইতিপূর্বে ১৫ জানুয়ারি এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল যৌথবাহিনী।
Jammu & Kashmir: 3 terrorists killed today by security forces during an encounter in Shopian were affiliated to proscribed terrorist outfit Hizb-ul-Mujahideen. (Visuals deferred by unspecified time) pic.twitter.com/Aoo2xWI7rT
— ANI (@ANI) January 20, 2020
[আরও পড়ুন : প্রেমের টান! অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে নিয়ে চম্পট শিক্ষিকার]
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে যৌথবাহিনী খবর পায় সোপিয়ান এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে এক পলাতক পুলিশ কর্মীও রয়েছে। এরপরই যৌথবাহিনী এলাকায় হানা দেয়। সন্ত্রাসবাদিদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিলে পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। আত্মরক্ষায় পালটা গুলি চালায় যৌথবাহিনী। খতম হয় তিন জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, খতম হওয়া তিনজনই হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। তাদের মধ্যে একজনের নাম আদিল আহমেদ। ২০১৮ সালে কাশ্মীর পুলিশের এই বিশেষ আধিকারিক চাকরি ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। পরে ভাচি এলাকার বিধায়ক এজাজ আহমেদ মিরের বাড়ি থেকে AK-47 লুঠ করে পালায় আদিল। তারপর থেকেই হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। কিন্তু খোঁজ মেলেনি। এদিনের এনকাউন্টারে তাকে খতম করা হয়েছে বলে খবর। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানান, “এদিনের এনকাউন্টারে খতম হয়েছে হিজবুলের অন্যতম মাথা ওয়াসিম আহমেদ ওয়ানি।” এজিন তিনি কাশ্মীরে ‘ডি-ব়্যাডিকেলাইজ’ কেন্দ্র করার পক্ষেও সওয়াল করেন। এর ফলে কাশ্মীরের উন্নতি হবে বলেও মনে করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন : সিএএ’র সমর্থনের মিছিল থেকে মহিলা আধিকারিককে মার, কাঠগড়ায় বিজেপি সমর্থকরা]
প্রসঙ্গত ১৭ জানুয়ারি সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক ভেস্তে দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ওইদিন শ্রীনগরে হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে জঙ্গিদের গোপন ডেরায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের দাবি, পুলওয়ামার মতো বিপর্যয় ঘটাতে চেয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। কিন্তু, তা সাফল্যের সঙ্গে রুখে দেওয়া গিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ জইশ জঙ্গিকে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক।