Advertisement
Advertisement

Breaking News

গণপিটুনি

গোমাংস বিক্রেতা সন্দেহে ঝাড়খণ্ডে ফের গণপিটুনি, মৃত্যু যুবকের

এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

A man was beaten to death allegedly by villagers in Jharkhand

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 23, 2019 3:04 pm
  • Updated:September 23, 2019 3:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোমাংস বিক্রির সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। আবারও নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী ঝাড়খণ্ড। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও দু’জন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ভেঙে পড়েছেন চিদম্বরম, চাঙ্গা করতে তিহাড়ে গিয়ে সাক্ষাৎ সোনিয়া-মনমোহনের]

বছর চৌত্রিশের ওই যুবক ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার বাসিন্দা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি দোকানে গোমাংস বিক্রি করছিলেন। এই খবর স্থানীয়দের মুখে মুখে প্রায় গোটা এলাকায় চাউর হয়ে যায়। তারপরই গ্রামবাসীরা ওই এলাকায় জড়ো হয়ে যান। ওই যুবক কোন ধরনের মাংস বিক্রি করেন, সে কথা জিজ্ঞাসা করেন সকলে। আচমকা ঘিরে ধরে জেরায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই যুবক। অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকেন তিনি। এরপরই গ্রামবাসীরা তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। ওই যুবককে বাঁচাতে যান আরও দু’জন। দীর্ঘক্ষণ ধরে মারধরের জেরে ঘটনাস্থলে প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন প্রত্যেকে। খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। মুহূর্তের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রত্যেককে উদ্ধার করে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় একজনের।

Advertisement

পুলিশ আধিকারিক এভি হোমকার বলেন, “সকাল দশটা নাগাদ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পাই গোমাংস বিক্রি করছেন এক যুবক। তাতেই রেগে আগুন হয়ে যান স্থানীয়রা। তারা তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করছে শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘চন্দ্রযান ২-এর সাফল্য বাড়িয়ে বলা হচ্ছে’ , কে শিবনকে খোঁচা ইসরোর প্রাক্তনীদের]

চলতি মাসের জুনেও ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলায় তবরেজ আনসারি নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। টানা প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বাধ্যও করা হয় তাঁকে। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে। বেশ কয়েকদিন পর তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান তবরেজ। তবে গণপিটুনিতে মৃত্যু হলেও ময়নাতদন্তে হার্ট অ্যাটাকের কথা উল্লেখ হয়েছে বলেই জানায় পুলিশ। পরে যদিও চাপের মুখে এই ঘটনার ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়। তবরেজ আনসারির মৃত্যু নিয়ে টানাপোড়েনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গোমাংস বিক্রেতা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার এক যুবক। বারবার গণপিটুনির ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কপালে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ