সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথম বড় উপহার পেল কাশ্মীর উপত্যকা। অন্তত এমনটাই দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। বুধবার নয়াদিল্লি থেকে দিল্লি-কাটরা সেমি হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রাপথের সূচনা হল। ট্রেনটির সূচনা করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সহ-অন্যান্যরা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে সবুজ ঝান্ডা দেখানোর পর অমিত শাহ বললেন, কাশ্মীরের জন্য নয়াদিল্লির এটা প্রথম বড় উপহার।
[আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে ফিদায়েঁ হামলার ছক, গোয়েন্দা রিপোর্টে ছড়াল চাঞ্চল্য]
কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার পর উপত্যকার উন্নয়নই যে মোদি সরকারের লক্ষ্য, তা আরও একবার স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন অমিত শাহ। ৫ অগস্ট জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা বলে আসছিলেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে উপত্যকার উন্নয়ন। নতুন সেমি হাই স্পিট ট্রেনটিকে তাঁর প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। এদিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর অমিত শাহ বলেন, “দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং ধর্মীয় পর্যটনের প্রসারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে উন্নত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম হবে এই কাশ্মীর উপত্যকা।”
[আরও পড়ুন: দুর্দিনেও অর্থের অভাব নেই! দিল্লিতে বিলাসবহুল ভবনের উদ্বোধন করল সিপিএম]
রেল সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৬টায় ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কাটরায় পৌঁছাবে দুপুর ২টোয়। যাত্রাপথে আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট, লুধিয়ানা এবং জম্মু তাওয়াই স্টেশনে দু’মিনিট করে দাঁড়াবে। উলটো পথে কাটরা থেকে এই ট্রেন ছাড়বে দুপুর ৩টেয়। দিল্লি পৌঁছাবে রাত ১১টায়। নতুন সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি চালু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি উপকার হবে বৈষ্ণদেবী তীর্থযাত্রীদের। বৈষ্ণোদেবী তীর্থক্ষেত্রে যাওয়ার পথে যাওয়ার শেষ তথা প্রান্তিক রেল স্টেশন কাটরা। এই দিল্লি-কাটরা এক্সপ্রেসের সূচনা হওয়ার পর যাত্রার সময় কমে গেল প্রায় চার ঘণ্টা। আগে ১২ ঘণ্টা লাগতো যাত্রায়। এখন লাগবে মাত্র ৮ ঘণ্টা।
এই ট্রেনটির সূচনা হওয়া অবশ্য ৩৭০ ধারা বিলোপের আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু, বিজেপি আপাতত পূর্বনির্ধারিত এই ট্রেনের সূচনাকেই কাশ্মীরবাসীকে দেওয়া উপহার হিসেবে দেখাতে চাইছে।