Advertisement
Advertisement
হিন্দি চাপানো মন্তব্যের সাফাই অমিতের

‘কখনও হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি’, সাফাই অমিত শাহর

তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

Amit Shah said today that he never asked for the imposition of Hindi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 18, 2019 7:56 pm
  • Updated:September 18, 2019 9:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি দিবসে বলেছিলেন, “হিন্দিই একমাত্র ভাষা, যা গোটা দেশকে একসূত্রে গেঁথে রাখতে পারে। দেশের প্রতীক হিসেবে একটি সাধারণ ভাষা থাকা প্রয়োজন।” বলা বাহুল্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে একেবারেই ভালভাবে নেননি বিরোধীরা। অমিত শাহ’র এই মন্তব্যকে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা হিসেবে দেখছে অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলি। স্বাভাবিকভাবেই, ‘ভাষার জন্য লড়াই’ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয় অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে। আসরে নামে বিরোধীরাও। প্রতিবাদী রাজ্যগুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলা এবং তামিলনাড়ুর নাম। বিরোধিতার এই বহর দেখে একপ্রকার পিছু হঁটলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি কখনওই হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেননি। 

[আরও পড়ুন: আড়াই বছর পর দেখা, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে মোদিকে কুর্তা উপহার মমতার]

হিন্দু দিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর করা একটি টুইট ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। সেই টুইটে অমিত শাহ লেখেন, “ভারত বহু ভাষার দেশ। আর প্রত্যেকটা ভাষার একটা নিজস্বতা আছে। কিন্তু, বিশ্বব্যাপী আলাদা পরিচিতি তৈরির জন্য একটা সাধারণ ভাষা থাকা দরকার। আজ যদি, এমন কোনও ভাষা থেকে থাকে যা গোটা দেশকে একসূত্রে বাঁধতে পারে সেটা হল হিন্দি। কারণ, এই ভাষাটিই দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এবং বেশি মানুষ বোঝেন।” অমিত শাহর সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম-কংগ্রেস থেকে শুরু করে সব বিরোধী দলই অমিতের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসান এবং রজনীকান্তও অমিত শাহর মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। এমনকী খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদ্দুরাপ্পা দলের সভাপতির মন্তব্যের বিরোধিতা করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কৃষিক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতি, টানা ষষ্ঠবার কেন্দ্রের ‘কৃষিকর্মণ’ পুরস্কার পেল বাংলা]

অবশেষে খানিকটা চাপে পড়েই বুধবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ। তিনি বললেন,”আমি কখনওই আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। আমি শুধু অনুরোধ করেছি মাতৃভাষার পাশাপাশি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি শিখতে। আমি নিজেই একটি অহিন্দিভাষী রাজ্য থেকে আসি। এবার কেউ যদি আমার মন্তব্য নিয়ে রাজনীতি করতে চাই, সেটা তাঁর ইচ্ছা।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ