Advertisement
Advertisement

Breaking News

অসম

অসমে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, বন্যায় ভেসে গেল ৭০০টি গ্রাম

প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

Assam flood situation: 4 lakh people affected across 700 villages
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 12, 2019 11:08 am
  • Updated:August 21, 2020 1:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ অবনতির হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতির। ১৭টি জেলার ৭০০ গ্রামের প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একাধিক জায়গা থেকে ধসের খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছতে আর বেশি দেরি নেই ব্রহ্মপুত্রের। সতর্কতার সীমা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে জলস্তর।

গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর সতর্কতা সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েস অথরিটির সিনিয়র অফিসার ভি গান্ধিয়া জানিয়েছেন, গুয়াহাটিতে জলস্তর এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে এক-দু’দিনের মধ্যে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে জোরহাটের নিমাতি ঘাটে জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ব্রহ্মপুত্র ছাড়াও ধনশিড়ি, জিয়া ভরালি, দিখৌ, পুঠিমারি ও বেকি নদীর জলস্তরও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে খবর। নদীগুলির জলস্তর ক্রমাগত বাড়ার ফলে ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, জোরহাট, দরং, বরপেটা, নলবাড়ি, মাজুলি, চিরাং, ডিব্রুগড় ও গোলাঘাট-সহ একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: আল কায়দাকে শায়েস্তা করতে জানে সেনাবাহিনী, জাওয়াহিরি হুমকি ওড়াল ভারত ]

Advertisement

গুয়াহাটিতে এখনও বন্যার পরিস্থিতি তৈরি না হলেও ধসের কারণে বিপর্যস্ত এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে এলাকার একাধিক জায়গায় ধস নামে। বৃহস্পতিবার ধসের ফলে দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর (ASDMA) জানিয়েছে, প্রায় ১৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি কৃষিজমি বন্যায় ভেসে গিয়েছে। এখনও রাজ্যের অনেক জেলায় চলছে অঝোরে বৃষ্টিপাত। ৪ লক্ষ মানুষ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৭টি জেলার ৭০০টি গ্রাম বিপন্ন।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টাই কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। খবর পেলেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর (NDRF) ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের (SDRF) সদস্যরা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের একাধিক জায়গা। পশুদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: ভুয়ো ডিগ্রি পেশের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব দিল্লির আদালতের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ