Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউন করোনা ভ্যাকসিন

অদূর ভবিষ্যতে করোনার ভ্যাকসিনের আশা না করাই ভাল, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিশেষজ্ঞদের

আর অপেক্ষা না করে খুলে দেওয়া হোক স্কুল-কলেজও, পরামর্শ ওই বিশেষজ্ঞদের।

Avoid false hope on coronavirus vaccine, experts to PM Modi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 1, 2020 5:10 pm
  • Updated:September 1, 2020 5:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনতা দিবসের সকালেই দেশের মাটিতে তৈরি প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের কথা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এই মুহূর্তে ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। আর বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত মিললেই, তা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল সেটা কবে? ভারতের মাটিতে করোনার ভ্যাকসিন (Coronavirus) তৈরি হতে আর কতদিন সময় লাগবে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত অদূর ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। তাই বৃথা আশা না করায় ভাল। তাতে আখেরে সার্বিকভাবে দেশেরই ক্ষতি।

corona

Advertisement

IPHA, IAPSM এবং IAE নামের তিনটি সংগঠনের বিশেষজ্ঞরা এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছে, করোনার ভ্যাকসিন অদূর ভবিষ্যতে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। খুব তাড়াতাড়ি হলেও আরও অন্তত ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে। ১৮ মাসেও যদি কোনও কার্যকরী টিকা তৈরি হয়, সেটাও খুব বিরল ব্যাপার হবে। কারণ, সাধারণ নিয়ম মেনে টিকা তৈরি করতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগে যায়। ওই যৌথ কমিটির বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতে মহামারী প্রতিরোধে এমনিও ভ্যাকসিন কোনও ভূমিকা নেয় না। তাই ভ্যাকসিন আসবে এই বৃথা আশায় বসে থাকার কোনও অর্থ হয় না। যখন ভ্যাকসিন তৈরি হবে, তখন সেটা WHO’র গাইডলাইন মেনে বিতরণ করা যাবে। কিন্তু ততদিন এই ভ্যাকসিনের অপেক্ষার কোনও অর্থ হয় না। লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ রুখে দেওয়ার যে কৌশল সরকার নিয়েছে, তা এবার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ওই যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এখন থেকে ক্লাস্টার দেখে দেখে ছোট ছোট এলাকাজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে। তবে, স্কুল-কলেজ সব খুলে দেওয়াই ভাল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সামনে ভোট, তামিলদের সমর্থন পেতে বিজেপির প্রচারের নয়া হাতিয়ার ‘মোদি ইডলি’]

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় বড় শহরে ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে। তাই এখন আর বেশি টেস্টিং বা আইসোলেশনে ফোকাস করা অর্থহীন। আমাদের এখন ফোকাস করতে হবে, কীভাবে মৃত্যু কমানো যায় সেদিকে। এবং সেজন্যই স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রস্তুত করতে হবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশে তিনটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। অক্সফোর্ড এবং জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনেরও হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তবে, সেসব সত্বেও ভ্যাকসিন আসতে এখনও অনেকটা সময় বাকি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ