Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনিল আম্বানি

ঋণ শোধে ব্যর্থ অনিল আম্বানি, SBI-এর দায়ের মামলার ভিত্তিতে প্রশাসক নিয়োগ আদালতের

গত মাসেই অনিল আম্বানির সংস্থার মুম্বইয়ের সদর দপ্তর অধিগ্রহণ করে ইয়েস ব্যাংক।

Bankruptcy SBI case Anil Ambani Reliance Mumbai NCLT
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 21, 2020 7:04 pm
  • Updated:August 21, 2020 7:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা শোধ না করার অভিযোগে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অনিলের মালিকানাধীন দু’টি সংস্থা দেউলিয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসক নিয়োগ করেছে আদালত।

[আরও পড়ুন: বিপদ বাড়ছে অনিল আম্বানির, ১২০০ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ SBI]

দেশের বৃহত্তম ব্যাংক SBI-এর কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল অনিল আম্বানির (Anil Ambani) দুটি সংস্থা– রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আর-কম) এবং রিলায়্যান্স ইনফ্রাটেল লিমিটেড। লোন নেওয়ার সময় আমানত হিসেবে নিজেকেই ব্যক্তিগত গ্যারান্টর হিসেবে দেখিয়েছিলেন অনিল। কিন্তু সংস্থা দু’টির ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ায় কোনওমতেই আর ঋণ পরিশোধ করার মতো জায়গায় নেই তারা। তারপরই স্টেট ব্যাংকের তরফে মুম্বইয়ের ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের সামনে আরজি জানানো হয়েছিল, অনিলের মালিকানাধীন সংস্থাগুলি যাতে সম্পত্তি কেনাবেচা করতে না পারে, তার নির্দেশ জারি হোক। এই ট্রাইব্যুনালেই দেউলিয়া মামলার শুনানি হয়। আজ আদালত সেই দাবি খারিজ করায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন রিলায়্যান্স অনিল ধিরুভাই আম্বানি গ্রুপের কর্ণধার। এই বিষয়ে অনিলের মুখপাত্র বলেন, “ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কোনও প্রভাব রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড ও রিলায়েন্স ক্যাপিটাল লিমিটেডের উপর পড়বে না।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসেই ঋণখেলাপি অনিল আম্বানির সংস্থার মুম্বইয়ের সদর দপ্তর অধিগ্রহণ করে ইয়েস ব্যাংক। সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা সময়মতো ফেরত দেননি অনিল। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ মুম্বইয়ে ‘Reliance Infrastructure’-এর কর্ণধার অনিল আম্বানির দু’টি ফ্ল্যাটও অধিগ্রহণ করে ইয়েস ব্যাংক। এদিকে, শুধু SBI নয়, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক’-সহ চিনের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে অনিলের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন এই শিল্পপতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মেটাতে হবে চিনা ব্যাংকের সাড়ে ৫ হাজার কোটি! আরও বিপাকে ‘দেউলিয়া’ অনিল আম্বানি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ