Advertisement
Advertisement
Nishikant Dubey

‘মুসলিম কমিশনার’, এবার ওয়াকফ নিয়ে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারকে নজিরবিহীন আক্রমণ দুবের

সম্প্রতি ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এসওয়াই কুরেশি।

BJP's Nishikant Dubey now targets former poll panel chief SY Quraishi
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 20, 2025 10:26 pm
  • Updated:April 21, 2025 12:03 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করে খবরে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেখানেই না থেমে এবার একই ইস্যুতে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এসওয়াই কুরেশিকে ‘মুসলিম কমিশনার’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা। ভারতের মতো একটি ধর্মনিরেপক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন শীর্ষপদাধিকারীকে জাতপাত তুলে আক্রমণ করছেন শাসক দলের একজন সাংসদ। এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলা বাহুল্য।

কুরেশি দেশের ১৭তম মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল অবধি ছিল তাঁর কার্যকাল। সম্প্রতি তিনি ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় এক্স হ্যন্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “ওয়াকফ আইন নিঃসন্দেহে মুসলিমদের জমি দখলের জন্য সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। আমি নিশ্চিত যে সুপ্রিম কোর্ট এর বিরুদ্ধেই রায় দেবে। দুষ্ট প্রচার যন্ত্রের ভুল তথ্য তার কাজটি ভালোভাবেই করেছে।” এই মন্তব্যেই ক্ষেপে গিয়েছেন দুবে।

Advertisement

বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, কুরেশি একজন “নির্বাচন কমিশনার নয়, বরং একজন মুসলিম কমিশনার।” তিনি দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডে সাঁওতাল পরগানায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কুরেশির আমলেই সব থেকে বেশি ভোটার আইকার্ড পেয়েছিল। উল্লেখ্য, এই এলাকা গোড্ডা লোকসভার মধ্যে পড়ে। যেখানকার সাংসদ খোদ নিশিকান্ত দুবে। এছাড়াও এক্স হ্যান্ডেলে দুবে দাবি করেছেন, “৭১২ খ্রিস্টাব্দে ভারতে ইসলাম এসেছে। এই (ভারত) ভূমি হিন্দু, আদিবাসী, জৈন, বৌদ্ধদের বিশ্বাসের স্থান। ১১৮৯ খ্রিস্টাব্দে আমার গ্রাম বিক্রমশিলাকে পুড়িয়ে দিয়েছিল বখতিয়ার খিলজি। অথচ বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল তার প্রথম উপাচার্য অতীশ দীপঙ্করকে। ইতিহাস পড়ুন। পাকিস্তান তৈরির সময় বিভাজন তৈরি হয়েছে। নতুন করে বিভাজন চাই না।”

শনিবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করে বলেন, ‘যদি আইন তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের কাজ হয় তাহলে সংসদ বন্ধ করে দিন।’ গোড্ডার বিজেপি সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, “আপনাদের নিয়োগ করেছেন যাঁরা, আপনারা তাঁদের কী ভাবে নির্দেশ দিতে পারেন? আপনারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চান।” শীর্ষ আদালতকে নিশানায় নিয়ে নিশিকান্ত আরও বলেন, ‘এই দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধলে জন্য দায়ী থাকবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।’ তাঁর এহেন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিশিকান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের কাছে আইনি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে বিরোধী শিবির।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement