Advertisement
Advertisement
Sri Lanka Crisis

অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কায় ভারতের হস্তক্ষেপ? আগামী সপ্তাহে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মোদি

দ্বীপরাষ্ট্রে বসবাসকারী তামিল মানুষদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।

Central Government calls all party meet to discuss intervention in Sri Lanka | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 17, 2022 6:03 pm
  • Updated:July 17, 2022 6:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সর্বদল বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবেশী দেশের আর্থিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পদক্ষেপ করা উচিত ভারতের, সেই প্রসঙ্গ মাথায় রেখেই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman) এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের (S Jaishankar) নেতৃত্বে আলোচনা করা হবে। দক্ষিণ ভারতের দুই রাজনৈতিক দল ডিএমকে এবং এআইডিএমকের প্রস্তাব মেনেই এই বৈঠক হবে।

জানা গিয়েছে, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই একটি সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meet) হয়। সেখানেই শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার কথা জানায় দুই দল। শ্রীলঙ্কাতে প্রচুর তামিল মানুষ বসবাস করেন। দেশের দুরাবস্থার ফলে বেহাল দশা তাঁদের। সেই কারণেই দ্বীপরাষ্ট্রের এহেন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত ভারতের। কেন্দ্রীয় সরকারের জোটসঙ্গী এআইডিএমকে এবং তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকের সাংসদদের প্রস্তাব মেনেই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বেচ্ছা মিলনে গর্ভধারণ, ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না হাই কোর্ট]

আর্থিক বিপর্যয় এবং রাজনৈতিক ডামাডোলের জেরে বিপর্যস্ত প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্যেই বারবার লঙ্কাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফ থেকে। আর্থিক সাহায্যও পাঠানো হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। তবুও দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সবমিলিয়ে প্রতিবেশী দেশের বেহাল অবস্থাতেও শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পদক্ষেপ করেনি ভারত।

Advertisement

যদিও বারবার রাজাপক্ষেকে সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। শোনা গিয়েছিল, পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন রাজাপক্ষে। আরও জানা গিয়েছিল, জনরোষ থামাতে দ্বীপরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে ভারত। কিন্তু সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ভারতের তরফে। প্রসঙ্গত, রবিবার ১০০ দিনে পা দিল শ্রীলঙ্কাবাসীর বিক্ষোভ। দেশ জুড়ে অব্যবস্থার মধ্যেই আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নতুন প্রেসিডেন্ট এসে দেশের হাল ধরবেন, সেই আশায় রয়েছে লঙ্কাবাসী।

[আরও পড়ুন: ধনকড়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্গারেট আলভা, বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ