সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ করোনা থাবা বসাতে পারেনি সিকিমে। ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে এখনও পর্যন্ত তা ভাইরাসমুক্ত। তবে করোনার কবলে পড়েও সুস্থ হয়ে উঠেছে মণিপুর এবং গোয়া। নিজেদের ‘করোনামুক্ত রাজ্য’ হিসেবেই ঘোষণা করেছিলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা। এবার এই কঠিন যুদ্ধে জয়ী হয়ে সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল আরও এক রাজ্য। ত্রিপুরা। সুসংবাদ দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
বৃহস্পতিবার বিপ্লব দেব জানান, রাজ্যের দ্বিতীয় রোগীর টেস্টও নেগেটিভ এসেছে। ফলে করোনা যে ত্রিপুরা থেকে বিদায় নিয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। টুইটারে তিনি লেখেন, “আপডেট! লাগাতার পরীক্ষার পর দ্বিতীয় রোগীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর তাতেই করোনামুক্ত হল আমাদের রাজ্য। প্রত্যেককে অনুরোধ জানাব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার। সরকারের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলুন। বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন।” একই সঙ্গে ত্রিপুরাকে ভাইরাসমুক্ত করার জন্য চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমস্ত করোনা যোদ্ধাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
माँ त्रिपुरसुंदरी जी के आशीर्वाद से तथा माननीय प्रधानमंत्री @narendramodi जी के दिखाए मार्ग से प्रेरित होकर, हमारा अपना त्रिपुरा आज कोरोना मुक्त हो गया है। आशा है कि जल्द ही पूरा भारत और फिर पूरा विश्व इस वैश्विक महामारी से मुक्त होगा।
जय हिंद। pic.twitter.com/l3wHEmRlqd
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) April 23, 2020
[আরও পড়ুন: করোনার ছায়া মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায়, আক্রান্ত আবাসনমন্ত্রী জিতেন্দ্র আওহাদ]
গত ৬ এপ্রিল প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছিল ত্রিপুরায়। গোমতি জেলার উদয়পুরের এক মহিলার শরীরে বাসা বাঁধে মারণ ভাইরাস। লকডাউনের আগেই গুয়াহাটি থেকে ফিরেছিলেন তিনি। ১৬ এপ্রিল সুস্থ হয়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়া পান ওই রোগী। তারপর গোমতি জেলারই এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয় তাঁকে। মহিলা ছাড়া পাওয়ার দিনই খোঁজ মেলে রাজ্যের দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তর। দামচেরায় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের (TSR) এক জওয়ান কোভিড পজিটিভ হন। তবে আপাতত সুস্থ তিনি। বৃহস্পতিবারই তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, ওই জওয়ানের আরও একবার টেস্ট হবে। এবার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আপাতত ১১১ জন করোনা সন্দেহর উপর নজরদারি চালাচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে ২২৭ জনকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। পূর্বের আরও এক রাজ্য করোনামুক্ত হওয়ায় আশার আলো দেখছে গোটা দেশ।