Advertisement
Advertisement
কেরল

দোর এঁটে ঘরে থাকলেই পুরস্কারে মিলবে সোনা! লকডাউনে অভিনব প্রতিযোগিতা এই গ্রামে

থাকছে আরও আকর্ষণীয় পুরস্কার।

Citizens of this Kerala village will be rewarded if they follow lockdown rules
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 28, 2020 3:53 pm
  • Updated:April 28, 2020 3:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে থাকলেই একমাত্র এই দেশকে করোনা মুক্ত করা যাবে। লকডাউন জারির পর থেকেই এ কথা বারবার বলে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী সকলেই। নিজেকে গৃহবন্দি করেই দেশসেবা সম্ভব। অযথা বাইরে বেরনো মানুষগুলিকে বারবার তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন পুলিশ কর্মীরাও। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে দেখা গিয়েছে, অনেকেই লকডাউনের নিয়মভঙ্গ করে রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। যাঁরা সমাজের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন। তবে কেরলের একটি গ্রামে ধরা পড়েছে একেবারে অন্য ছবি। করোনাকে হার মানানোর প্রত্যয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেই গ্রামের বাসিন্দারা। আর তাই তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল প্রশাসন।

মুম্বই, গুজরাট, তামিলনাড়ু, রাজস্থানের মতো দেশগুলির বাড়ছে থাকা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশবাসীর, সেখানে কেরলের ছবিটা স্বস্তিদায়ক। সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, করোনা মোকাবিলায় গোটা দেশ কেরল মডেলকেই সামনে রাখছে। কীভাবে করোনা রোধে সফল হচ্ছে এই রাজ্য? কোন জাদুবলে মৃতের সংখ্যা বেধে ফেলা গিয়েছে গোড়াতেই? তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ মালাপ্পুরম জেলার থাজেখোড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত। সমস্ত চাহিদা পূরণ করেও কীভাবে মানুষকে বাড়িতে রাখা সম্ভব, তা গোটা দেশকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কেরল প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের]

গত মাসে লকডাউন শুরুর পরই ওই গ্রামে একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কোন পরিবার লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময় বাড়িতে কাটাতে সক্ষম। এই ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু। জানিয়ে দেওয়া হয়, যে পরিবারগুলি নিয়মের পালন করবে, পঞ্চায়েতের তরফে পুরস্কৃতও করা হবে তাদের। যে সে পুরস্কার নয়, তালিকায় রীতিমতো সব আকর্ষণীয় পুরস্কার। যেমন প্রথম পুরস্কার সোনা। দ্বিতীয় হলে মিলবে রেফ্রিজারেটর। তৃতীয় পুরস্কার ওয়াশিং মেশিন। এখানেই শেষ নয়। রয়েছে ৫০টি সান্ত্বনা পুরস্কারও। লকডাউন শেষ হওয়ার পর সেই সমস্ত পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ী পরিবারগুলির হাতে।

Advertisement

ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি একে নসর জানান, গ্রামে প্রায় দশ হাজার পরিবারের বাস। গ্রামবাসীরা নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকছেন কি না, তা দেখার জন্য বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙলেই তাঁকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আশা করছি ৩ মে এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে। সেটা পঞ্চায়েতই ঠিক করবে। প্রতিযোগিতার মেয়াদ শেষে পর্যবেক্ষকদের থেকে ফলাফল জানতে চাওয়া হবে। তারপর সেই সব পরিবারকে একটি করে কুপন দেওয়া হবে। তাদের মধ্যেই লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে বেছে নেব বিজয়ীদের।” পঞ্চায়েতের এমন উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা রাজ্য। দুর্দান্ত সব সিদ্ধান্ত নিয়ে করোনাকে মাত দেওয়ার শিক্ষা দিচ্ছে ঈশ্বরের আপন দেশ।

[আরও পড়ুন: এখনই অবসর নয়, করোনা আবহে বাড়ল সরকারি কর্মীদের কাজের মেয়াদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ