Advertisement
Advertisement
Congress

ভারতের জমি দখল করছে চিন, আর মোদি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন! তোপ কংগ্রেসের

সম্প্রতি উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবিতে দেপসাংয়ে চিনা শিবির দেখা গিয়েছে।

Congress attacks govt over ‘Chinese shelters in Depsang’ | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 4, 2022 2:02 pm
  • Updated:December 4, 2022 2:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ফের কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, চিনের প্রতি সরকারের নরম মনোভাবের জন্যই ধীরে ধীরে ভারতীয় জমি আত্মসাৎ করে চলেছে চিন। আকসাই চিন লাগোয়া দেপসাংয়ে চিনা নির্মাণের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সিসিটিভি ফুটেজে। সেই ফুটেজকেই হাতিয়ার করছে হাত শিবির।

আসলে কিছুদিন আগে জি-২০ (G-20) বৈঠকে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাতেই আপত্তি কংগ্রেসের (Congress)। হাত শিবির বলছে, চিন যখন ভারতীয় ভুখণ্ডে এসে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে আছে, তখন প্রধানমন্ত্রী গিয়ে জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন! কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেছেন, “জিনপিংকে (Xi Jinping) তো মোদি লাল চোখ দেখালেন না। জানি না আমাদের ২০ জন জওয়ানের আত্মত্যাগ ভুলে মোদিজি কী এমন কথা বলে এলেন।” এরপরই কংগ্রেস মুখপাত্রের প্রশ্ন, কবে আগের স্থিতাবস্থা ফিরবে? “

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়করাই খরচ করেননি তহবিলের টাকা, গুজরাটে নয়া অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির]

আসলে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গিয়েছে দেপসাং এলাকায় চিনা আধিপত্যের ছবি। ‘সিন্থেটিক অ্যাপার্চার রাডার’ বা SAR-এর সাহায্যে ধরা পড়েছে, প্রকৃত সীমান্তরেখার একেবারে গা ঘেঁষে দেপসাং এলাকায় চিনের নির্মাণ রয়েছে! ভারতের সর্বোচ্চ বায়ুসেনা ঘাঁটি অবস্থিত লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডিতে। এর থেকে মাত্র ২৪ কিমি দূরত্বে লালফৌজের ঘাঁটি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ওই ঘাঁটি অবশ্য নতুন নয়। আকসাই চিনের ওই ঘাঁটি ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পরে স্থাপিত হয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে ওই ঘাঁটির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে বেজিং।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বৈঠকে যোগ দিতে দেশে জি২০ প্রতিনিধিরা, ডালবাটি চুড়মা থেকে যোধপুরি পোলাও, আয়োজন রকমারি]

ওই ঘাঁটির মুখ্য ইমারত সংলগ্ন এলাকায় আরও নতুন নতুন নির্মাণ হয়েছে। নজরে এসেছে ক্যাম্প, গাড়ি ও ফেন্সিংও। সেই ২০২০ সাল থেকে এই নির্মাণ শুরু হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। ওই এলাকায় লালফৌজের উপস্থিতি রয়েছে। সীমান্তরেখা সংলগ্ন এলাকায় রাখা রয়েছে ট্যাঙ্কও। দেখা যাচ্ছে প্রধান ঘাঁটির একদম পাশেই একটি নতুন নির্মাণ রয়েছে। রয়েছে সৌর প্যানেল, অ্যান্টেনা টাওয়ার্স, ডিফেন্স সিস্টেমও। এত ছবি প্রকাশ্যে আসার পরও ভারত সরকার কোনও মন্তব্য করেনি। সেটা নিয়েই এবার তোপ দাগল কংগ্রেস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ