Advertisement
Advertisement
হিন্দু সন্ত্রাস

রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ তত্ত্ব গড়ে কংগ্রেস, তোপ জেটলির

হিন্দু সমাজকে হেয় করতেই এই পথ নেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য জেটলির।

Congress couined Hindu terror theory, says Arun Jaitley
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 30, 2019 10:31 am
  • Updated:August 12, 2021 6:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ সালের সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ ইস্যুতে বিরোধী কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকার হিন্দু সন্ত্রাস তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্যই সেই সময় সমঝোতা এক্সপ্রেস ইস্যু তুলেছিল।” আর হিন্দু সমাজকে হেয় করতেই এই পথ নেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জেটলি।

[আরও পড়ুন: কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ নয়, আইনি জটে প্রার্থী হতে পারছেন না হার্দিক প্যাটেল]

Advertisement

উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই আদালত প্রমাণের অভাবে সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্তদের খালাস করে দিয়েছে। সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলার রায় প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেটলি বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। শুধু হিন্দু সমাজকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। কংগ্রেস আর ইউপিএ সরকার এরজন্য দায়ী। তিনি বলেন, “হিন্দু সন্ত্রাসবাদ তত্ত্ব সেই সময় স্থাপন করা হয়েছিল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। আর সেই তত্ত্ব প্রমাণ করতেই কিছু নির্দোষ মানুষকে ফাঁসানো হয়েছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ওই ঘটনায়। কিন্তু যারা প্রকৃত দোষী তাদের কোনও শাস্তি হয়নি।” সরাসরি না হলেও গান্ধী পরিবারের দিকেও এদিন তোপ দেগেছেন জেটলি। তিনি বলেছেন, “আর সেই জন্যই যারা হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে তারাই এখন ধর্মের প্রতি তাদের ভক্তি প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে রয়েছে।”

Advertisement

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্লগেও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন জেটলি। মহাজোটকে কটাক্ষ করে জেটলি বলেছেন, “একটি রাজনৈতিক সার্কাস, যার নাম মহাজোট। দেশের মানুষের উপর নির্ভর করছে, তারা কেমন সরকার চায়। একদিকে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৈরি সরকার, আর অন্যদিকে রয়েছেন তাঁরা, যাঁরা মহাজোটের কথা বলেছেন। যাদের মধ্যে প্রত্যেককেই প্রায় অর্ধেকের বেশি আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছে। একে অপরের আসনকে কম করার চেষ্টা করছে। তাদের কোনও স্পষ্ট নেতৃত্ব নেই। চারটি নাম উঠে এসেছে রাহুল গান্ধী, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পাওয়ার। যাঁরা চাইছেন নিজেদের আসন বাড়াতে, অপরের কমাতে। কিছুদিনের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করবেন তাঁরা। আর পুরনো অভিজ্ঞতা বলে এই ধরনের বিশৃঙ্খল মহাজোট নিয়ে যে সরকার তৈরি হয় তা ছয় মাসের বেশি টেকে না। এরকম পাঁচটি উদাহরণ গত ৪০ বছরে রয়েছে।”

[আরও পড়ুন: শতাব্দী এক্সপ্রেসে চায়ের কাপে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’, বিতর্কে বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ